শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

এবার পুরুষদের নামেও হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! তবে রয়েছে এই বিশেষ শর্ত

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০২:১৩ পিএম | আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২২, ০৮:৩৪ পিএম

এবার পুরুষদের নামেও হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! তবে রয়েছে এই বিশেষ শর্ত
এবার পুরুষদের নামেও হবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড! তবে রয়েছে এই বিশেষ শর্ত

রাজ্যের মানুষের চিকিৎসার সুবিধার্থে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ব্যবস্থা করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। বর্তমানে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় আড়াই কোটি পরিবার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পেয়ে থাকেন উপভোক্তারা।

রাজ্যের তরফে ২০১৬ সাল থেকে এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সূচনা। তবে সেই সময় এই প্রকল্প সকলের জন্য অর্থাৎ সার্বজনীন ছিল না। রাজ্য সরকারের অধীনে সামান্য সংখ্যক মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেতেন। পরে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের সকল মানুষের জন্য এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় সরকারি হাসপাতাল ছাড়াও রাজ্যের রয়েছে রাজ্যের ২৩৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম। এই সমস্ত জায়গাতেই চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে এতদিন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা গোটা পরিবার পেলেও কার্ড করা হত পরিবারের প্রধান মহিলার নামে। ২০২০ সাল থেকে যে সকল মহিলারা এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁদের সকলের পরিবারই বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা পেয়ে থাকেন। তবে এবার এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এবার থেকে পুরুষদের নামেও করা যাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।

যদিও পুরুষদের নামে এই প্রকল্প চালু করার ক্ষেত্রে রয়েছে কিছু বিশেষ শর্ত। এবার থেকে যে পরিবারে কোন মহিলা নেই সেই পরিবারের পুরুষরাও এই প্রকল্পের আওতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি একাকী পুরুষ হলে তবেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে নিজের নাম তুলে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা নিতে পারবেন।

কিন্তু এর জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? শর্ত অনুযায়ী, কোনও একাকী পুরুষকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য স্থানীয় কাউন্সিলর বা বিধায়কের কাছ থেকে প্রথমে একাকী, পরিবারহীন থাকার ‌বৈধতাপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আবেদনপত্রের সঙ্গে সেই বৈধতাপত্র জমা দিতে হবে। এরপর সরকারি তরফে সেই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখা হবে। ওই ব্যক্তি যদি প্রকল্পের জন্য যোগ্য হযন তাহলে তার নাম নথিভুক্ত করা হবে এবং স্বাস্থ্য বিমার সুবিধাও পাবেন তিনি।