শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

এবার রাজ্য বিজেপিতে কি বিদ্রোহ খোদ শুভেন্দুর? ছাড়লেন জেলা BJP-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ১২:২১ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৬:২১ পিএম

এবার রাজ্য বিজেপিতে কি বিদ্রোহ খোদ শুভেন্দুর? ছাড়লেন জেলা BJP-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ
এবার রাজ্য বিজেপিতে কি বিদ্রোহ খোদ শুভেন্দুর? ছাড়লেন জেলা BJP-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য রাজনীতিতে জেলা স্তরে বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসার ধারা এখনও অব্যাহত। এবার কি বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী? এবার দলের জেলা সাংগঠনিক গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র শুভেন্দু অধিকারীই নন, ওই গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন দলের আর এক বিধায়ক অশোক দিন্দা এবং নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব দাস। তাঁরা আচমকাই কেন এভাবে গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। 

উল্লেখ্য, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে কোন্দল এখনও চলছে। জেলায়-জেলায় দলত্যাগ এবং পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার রাজনীতি অব্যাহত। জেলায় জেলায় এভাবে বিজেপির গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসার এই ধারা ক্রমশ চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বের। রবিবার রাতেই রাজ্য বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান একে একে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পাশাপাশি গ্রুপ ছাড়েন ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা ও সাহেব দাসরা। এদের একসঙ্গে গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসার ঘটনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। 

রবিবারই তমলুক সাংগঠনিক জেলা কমিটির ৪২ টি মণ্ডল সভাপতির নাম চূড়ান্ত করা হয়। অভিযোগ ওঠে যে, পুরনো নেতাদের অনেককেই বাদ দিয়ে, সেই জায়গায় জেলা বিজেপি সাংগঠনিক সভাপতির পছন্দের নেতাদের মণ্ডল সভাপতি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে, বাকিদের বিশেষ করে পুরনোরা তেমন ভাবে স্থান পাননি৷ এতেই যতো সমস্যার সূত্রপাত। দলের অন্দরে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে। এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, ময়নার বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা, নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা সাহেব দাসের গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন। 

এদিকে, দলীয় সূত্রে খবর, তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সভাপতি হওয়ার পর থেকেই অনেকের সঙ্গেই দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। এমনকি খোদ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও তেমন ভালো নয়। দলের ভিতরে তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছিল। এরপর রবিবার তালিকা প্রকাশের পর সেই ক্ষোভ বাইরে প্রকাশ পায়। 

সোমবারই সকালে শুভেন্দু অধিকারীর দলের জেলা সাংগঠনিক গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসার খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে চর্চা শুরু হয়ে যায়। তবে, খোদ শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।