ভাতারের বিজিপুর হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকার ভিডিও ভাইরাল! তাঁদের কাণ্ড দেখে ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিদিন কত কিছুই ভাইরাল হয়। মানুষ এখনও ভীষণভাবে সোশ্যাল মিডিয়া নির্ভর। প্রতি মুহূর্তে নানা ছবি, ভিডিও আরও কতো কি পোস্ট করা হয় তার ইয়ত্তা নেই। তেমনই দুটি ভিডিও আপলোড হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

যে দুই ভিডিও ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে, সেই ভিডিও দুটি করেছেন একই স্কুলের দুই অংকের শিক্ষক ও ভূগোলের শিক্ষিকা। যার একটিতে দেখা গিয়েছে, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে আটের দশকের জয়প্রদা-জিতেন্দ্র অভিনীত বিখ্যাত তোফা’ ছবির সেই বিখ্যাত গান। সেই গানের তালে তাল মিলিয়ে অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করছেন‌ এক স্কুল শিক্ষক! আর ওপর মিম ভিডিওতে অভিনয় করছেন ভুগোলের শিক্ষিকা। এই দুই ভিডিও নিয়েও যত হইচই। তবে, ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলবশত আপলোড হয়েছে বলেই দাবি করেছেন দুই শিক্ষক। 

উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিজিপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সুমন্ত দাস। আর ওই একই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সুদীপ্তা মল্লিক। উভয়েই বৃহস্পতিবার রাতে দুজনের দুটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দুই ভিডিওর মধ্যে ওই শিক্ষকের ভিডিওতে দেখা গিয়েছে গানে লিপ মেলাতে অদ্ভুত ভঙ্গিতে।অন্যটিতে অভিনয় করতে দখা গিয়েছে ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা সুদীপ্তা মল্লিককে। এই দুই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড হতেই মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বহু মানুষ শেয়ার করেন ওই ভিডিও দুটি। 

নেটিজেনদের মধ্যে কেউ লিখেছেন, ‘এই হচ্ছে আমাদের বিজিপুর হাই স্কুলের গুণধর শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাহলে আমাদের ছাত্রছাত্রীদের কী হবে? তারা তো umbrella কে amrela বলবেই। এতে দোষের কিছু নেই।’ আবার অনেকে তো ওই শিক্ষক এবং শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করার দাবিও তুলেছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন এটা তাঁদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। ওনারা স্কুলে ভাল পড়ান। নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করেন। তাই এই ভিডিও ভাইরাল না করলেই ভাল। 

এদিকে, এই ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হতেই শুক্রবার চোখে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিজিপুর হাইস্কুলের শিক্ষক সুমন্ত দাসের। সেখানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি এই ভিডিওটা মজার ছলে মেয়েকে নিয়ে করেছিলাম। আমার মেয়েও একটা ভিডিও করেছিল। দুটো ভিডিও ও পোস্ট করে ফেলে। ২ মিনিট এর মধ্যে আমি দেখে ডিলিট করে দিই। কিন্তু তার মধ্যেই কেউ এটাকে ডাউনলোড করে ফেসবুক বা হোয়াটসআ্যপে শেয়ার করেছে। তাই আমার অনুরোধ এই পোস্টটা ডিলিট করে দিন।’

অন্যদিকে ভূগোলের শিক্ষিকা সুদীপ্তা মল্লিক মন্তব্য করেছেন, ‘বাড়িতে আমার সন্তান রয়েছে। সন্তানের মনোরঞ্জনের জন্যও মা হিসাবে কিছু ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই আমার ছেলের সঙ্গে ওই ভিডিও তৈরি করেছিলাম। যেটা অনেকদিন আগেই ইনস্ট্রাগামে আমার পার্সোনাল আ্যকাউন্টে পোষ্ট করি। সেটা কীভাবে ভাইরাল হল অবাক লাগছে।’ 

এদিকে, এই ভিডিও প্রসঙ্গে বিজিপুর হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক সুশান্ত অধিকারী প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, ‘আমার ফেসবুক আ্যকাউন্ট নেই। আমি ভিডিও দুটি দেখিনি। ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে জানতে চাইব বিষয়টি নিয়ে। প্রয়োজনে তাদের সতর্ক করা হবে। কারণ এই ধরনের ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের মনে প্রভাব ফেলতে পারে।’