বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বৌদির সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক! প্রতিবাদ করায় করুণ পরিণতি স্ত্রীর

চৈত্রী আদক | তনুজ জৈন

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২২, ১২:০৯ পিএম | আপডেট: আগস্ট ২, ২০২২, ০৬:০৯ পিএম

বৌদির সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক! প্রতিবাদ করায় করুণ পরিণতি স্ত্রীর
বৌদির সঙ্গে স্বামীর অবৈধ সম্পর্ক! প্রতিবাদ করায় করুণ পরিণতি স্ত্রীর / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বামী। বারবার প্রতিবাদ করলেও কোনও সুরাহা হয়নি। পরিবর্তে জুটেছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তাই বাধ্য হয়ে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন স্ত্রী। গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজপুরা গ্রামে। ইতিমধ্যেই গৃহবধুর স্বামী ও ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক।

জানা গিয়েছে আত্মঘাতি গৃহবধূর নাম ফুলমণি খাতুন। আট বছর আগে মালিপাকোর গ্রামের বাসিন্দা ফুলমণির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বেজপুরা গ্রামের বাসিন্দা নুরুদ্দিনের বিয়ে হয়। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, এর আগে নুরুদ্দিনের দুটি বিয়ে হয়েছিল। তাদের তালাক দেওয়ার পর ফুলমণিকে বিয়ে করেন তিনি। ফুলমণি ও নুরুদ্দিনের এক ছেলে ও এক মেয়েও রয়েছে।

ফুলমণির পরিবারের অভিযোগ, বিগত কয়েক মাস ধরেই নুরুদ্দিন তাঁর বৌদি বেলু বিবির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত। বিষয়টি জানাজানি হতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা লেগে থাকত। ফুলমণি একাধিকবার প্রতিবাদও করতে গিয়েছেন। কিন্তু স্বামী নুরুদ্দিন সহ শশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যরা লাগাতার শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতে থাকে ফুলমনির উপর।

গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যেবেলায় গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় ফুলমণি খাতুনকে পাওয়া যায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। পুলিশ এসে দেহটিকে উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের উদ্দেশ্যে পাঠায়। স্বামী নুরুদ্দিন এবং ননদ নাসো বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফুলমণির মা সাজিদা বিবির অভিযোগ, দিনের পর দিন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই তাঁর মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

মৃতার মা আরও জানিয়েছেন, “আমার মেয়েকে দিনরাত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। মোটা টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দিত। তাছাড়া জামাইয়ের বৌদির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছি। এই নিয়ে মেয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হত। মেয়ে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাধ্য হয়ে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।”