বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ রাজ্যে শেষ হয়েছে ভোট যুদ্ধ। রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল শিবির। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য শপথ গ্রহণ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ২০২১ এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অনেকেই। আর বর্তমানে দলবদলুরা অনেকেই ফের তৃণমূলে ফিরতে আর্জি জানিয়েছেন। তবে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতে পারেন এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। আর অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটল।
প্রসঙ্গত ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দূরত্ব ক্রমশ প্রকট হচ্ছিল মুকুল-মমতার। সেই দূরত্ব এবং সম্পর্কের ফাটল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে, যখন ২০১৭ সালে রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সঙ্গী মমতার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে, বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। তবে রাজনীতিতে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। আর এই কথায় সত্যি প্রমাণিত হল আজ। প্রায় ৪ বছর পর, আজ সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে মুকুর রায়ের গন্তব্য তৃণমূল ভবন। অন্যদিকে, একই সময়ে কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তৃণমূল ভবনের দিকে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। উদ্দেশ্য, মুকুল রায়ের ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় ও তাঁর পুত্র শুভ্রাংশুর রায় এর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার খবর ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। তবে এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বর্তমানে জল্পনা কল্পনা, গান গাওয়ার সময় নেই। তাদের বহু কর্মী সন্ত্রাসের শিকার। অনেকেই রয়েছে ঘরে ফিরতে পারেননি। আর বর্তমানে তাঁদের সুরক্ষা নিয়েই আপাতত চিন্তিৎ বলে জানান তিনি।
এদিন বনগাঁয় দলের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে তিনি এরূপ মন্তব্য করেন। এছাড়া তিনি এদিন রাজ্যের টিকাকরন কর্মসূচি সহ সিএএ, এনআরসি ইস্যু নিয়েও মন্তব্য করেন। তিনি জানান, রাজ্যে টিকা এলেও তার সমান ভাবে বন্টন করা হচ্ছে না। অন্যদিকে বলেন, রাজ্য়ের মধ্যে যে হিংসা সন্ত্রাস ছড়িয়েছে তার খতিয়ান নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া তিনি জানান, সিএএ এর বিল পাশ হলেও রাজ্যের সমর্থন ছাড়া এটি চালু করা সম্ভব নয়।