বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সদ্য অব্যাহতি মিলেছে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে! বাংলায় এবার দিলীপের ভূমিকা কী? কী বলছেন তিনি?

০৯:২৬ এএম, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

সদ্য অব্যাহতি মিলেছে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব থেকে! বাংলায় এবার দিলীপের ভূমিকা কী? কী বলছেন তিনি?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য বিজেপিতে আচমকাই বড় পরিবর্তন ঘটেছে সম্প্রতি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে দিলীপ ঘোষকে। তাঁকে পাঠানো হয়েছে দলের জাতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে। আর তাঁর জায়গায় বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার।

কাজেই এই মুহূর্তে তিনি সদ্য প্রাক্তন। এদিকে, মঙ্গলবারই কলকাতায় এসেছেন নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির সদর দফতরে তাঁকে পদ্মফুল, মালা এবং পেন সহযোগে সংবর্ধনা জানিয়েছেন খোদ বিদায়ী রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এতো কিছুর মধ্যেও কিন্তু প্রচারের আলো থেকে সরে যাননি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রতিদিনের জীবনযাত্রাতেও কোনও পরিবর্তন আসেনি। প্রত্যেক সকালের মতো এদিন সকালেও তাঁকে ইকোপার্কে শরীর চর্চায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন। দিলেন প্রশ্নের জবাবও।

এবার তাহলে বাংলায় বিজেপির বিদায়ী রাজ্য সভাপতির কী ভূমিকা হতে চলিতিতেকান পাতলে এই প্রশ্নই এখন শোনা যাচ্ছে বাংলার রাজনীতির আনাচেকানাচে। বুধবার ইকোপার্কে দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নেরই স্পষ্ট জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বললেন, ‘আমি অ্যাভেলেবল আছি।’

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন যে, ‘রাজ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত্রা যেভাবে আমাকে কাজে লাগাবে, আমি থাকব। একইভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমাকে যেভাবে নির্দেশ দেবেন, সেভাবে কাজ করব।’ এদিন বতিনি আরও বলেন যে, ‘এবার নিজের নির্বাচনী ক্ষেত্রে বেশি করে সময় দিতে চাই। প্রদেশ সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় সারা রাজ্য ঘুরতে হত, তাই মেদিনীপুরে বেশি সময় দেওয়া হত না। সেখানে বন্যা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ত্রাণের কাজ শুরু করেছি।’

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বঙ্গ বিজেপির একটা বৃহৎ অংশ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বকে মিস করবেন। প্রতিপক্ষকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ, কোনও পরোয়া না করার মনোভাব, তাঁর মেজাজ সবকিছুই কর্মীদের উৎসাহ দিত। কীভাবে কর্মীদের আরও বেশি করে দলের কাজে উদ্বুদ্ধ করা যায়, কীভাবেই বা হাওয়া গরম করা যায়, তা এই ক’বছরে প্রতক্ষ্য করেছে বাংলা। গেরুয়া শিবিরে তাঁর ভূমিকা বা অবদান বিশেষ করে রাজ্য রাজনীতিতে, অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। যেভাবে গত কয়েক বছরে বিজেপি বাংলায় জায়গা করে নিয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় দলের উত্থানের সিংহভাগ কৃতিত্বই দিলীপ ঘোষের। সেই তিনিই এই মুহূর্তে বাংলায় ‘পদ বিহীন’। তবে, দিলীপ ম্যাজিক ভুলবে না দল। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে, ভরপুর আত্মবিশ্বাসের সুরে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, ‘আমার অভিজ্ঞতা বেড়েছে বলে আরও দায়িত্ব দেওয়া হল। সরিয়ে দেওয়া হয়নি।’

পাশাপাশি এও স্পষ্ট করলেন যে, বিজেপি নতুন রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুকান্ত মজুমদারের নাম তিনিই দলের কাছে সুপারিশ করেছিলেন। তবে, ভবানী পুরে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের প্রচারে তাঁর থাকার প্রসঙ্গে এদিন তিনি জানিয়েছেন যে, ‘আপাতত কয়েকদিন থাকছি না। তবে, শেষ দু’তিন দিন ভবানীপুরের প্রচারে থাকব।’

বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘ও বুদ্ধিমান শিক্ষিত ছেলে, ভাল কাজ করবে।’ এর পাশাপাশি বাংলার রাজনীতিতে নিজের ভূমিকা নিয়ে দিলীপ ঘোষের স্পষ্ট বার্তা, ‘আমি এখানে এখানে সাংসদ। একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করব। আমার কর্মক্ষেত্র পার্টি ঠিক করবে। আমার জীবন সাধারণ আছে। আমি পার্টির জন্য কাজ করি।’ এছাড়াও প্রদেশের রাজ্য কমিটিতে কবে বদল আসবে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির বিদায়ী রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন যে, ‘এটা আমার পক্ষে বলা মুশকিল। নতুন সভাপতি এসেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন। আশা করি খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’