বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বালুরঘাটের সেই চেনা ‘বুবুন’ আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি, একনজরে সুকান্ত মজুমদার

১০:৪৯ পিএম, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১

বালুরঘাটের সেই চেনা ‘বুবুন’ আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি, একনজরে সুকান্ত মজুমদার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ ড. সুকান্ত মজুমদার। কানাঘুষো আগেই ছিল। অবশেষে সেই গুঞ্জনকেই মান্যতা দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আজই সুকান্ত মজুমদার সকালের ট্রেনে কলকাতায় আসেন। আজ বিজেপির সদর দফতরে নবনিযুক্তকে বরণ করে নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি নিজে পদ্মফুল, কলম, মালা দিয়ে স্বাগত জানান সুকান্ত মজুমদারকে। বলেন, ‘আপনি শিক্ষক মানুষ, তাই পেন দিলাম আপনাকে।’ উল্লেখ্য, সুকান্ত মজুমদার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ও বুদ্ধিমান শিক্ষিত ছেলে, ভাল কাজ করবে।’

তবে, রাজনীতির আঙিনায় সুকান্ত মজুমদারের সফর খুব বেশি দীর্ঘ নয়। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসন থেকে জয়লাভ করার পরই তাঁর প্রচারের আলোয় উঠে আসা ধীরে ধীরে। সেখান থেকে আজ রাজ্য বিজেপির প্রধান হলেন সুকান্ত। তবে, ২০১৯ সালের আগে রাজ্যবাসী তো দূর, সেভাবে তাঁকে জানতই না বিজেপি। সাংসদ হওয়ার পর, তিনি প্রচারের আলোয় এলেও, তেমনভাবে তাঁর বিষয়ে কোনও তথ্য কারও জানা ছিল না।

জেনে নেওয়া যাক, বিজেপির নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রসঙ্গে কিছু কথা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা সুকান্ত মজুমদার। বাবা ছিলেন পেশায় সরকারি কর্মী। বালুরঘাটেই তাঁর বেড়ে ওঠা। সেখানেই পড়াশোনা। সায়েন্স নিয়ে হাইস্কুল থেকে পাশ করেছেন। এরপর বোটানি নিয়ে পড়াশোনা, পাশ করা এবং এরপর গবেষণা। ছোট থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছাত্র ছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

ছোট থেকেই মেধাবী সুকান্ত শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। তেমন খুব একটা কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। বাড়ির পরিজনদের কাছে এবং পরিচিতদের কাছে তিনি বুবুন নামে পরিচিত। ঘরোয়া খাবারই পছন্দ বুবুন ওরফে সুকান্ত মজুমদারের।

 

নবনিযুক্ত বিজেপির রাজ্য সভাপতির পরিবারে বর্তমানে রয়েছেন বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই মেয়ে। মালদহের গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক কাজের পাশাপাশি সামাজিক নানা কাজের সঙ্গেও জড়িত। উল্লেখ্য, ক্লাস এইট থেকেই সুকান্ত আরএসএস-এর সঙ্গে জড়িত। এরপর ধীরে ধীরে সংঘের নজরে আসেন তিনি। প্রথমে ‘শাখা কার্যবহ’ এবং পরে ‘জেলা সম্পর্ক প্রমুখ’- এর দায়িত্ব পান। এরপর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট আসন থেকে দাঁড়িয়ে জেতেন। সংসদে মোদী এবং শাহের সুনজরে রয়েছেন তিনি।

এই সুকান্ত মজুমদারের সাংগঠনিক দক্ষতাকেই কাজে লাগিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁকে সিকিমের পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের কো-কনভেনর ছিলেন তিনি। এহেন সুকান্ত্র লোকসভায় উপস্থিতির হার ৯৮.৪ শতাংশ। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তিনি লোকসভায় ৩০০ টির বেশি প্রশ্ন করেছেন। উল্লেখ্য, যা এই রাজ্যের সাংসদের মধ্যে সবথেকে বেশি। আবার গোটা দেশের মধ্যে পঞ্চম। পাশাপাশি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কেও অংশগ্রহণ করেছেন সুকান্ত মজুমদার।