বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কেন তৃণমূলে যোগ বাবুলের? পরবর্তী পদক্ষেপ কী? রইল আসল কারণ

০৭:৫৮ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১

কেন তৃণমূলে যোগ বাবুলের? পরবর্তী পদক্ষেপ কী? রইল আসল কারণ

শনিবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। আর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলে প্রবেশ করতেই চমকে গিয়েছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ৷ বিশেষ করেই বিজেপির নেতৃত্বরা তো বিশ্বাসই করতে পারছেন না। বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি ট্যুইট অবধি করে ফেলেছেন এই বলে যে, বিষয়টি মিথ্যেও হতে পারে। নকল ছবি ব্যবহার করে বাংলার বিজেপি নেতাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে বলেও মত দেন তিনি।

https://twitter.com/RoopaSpeaks/status/1439173329546477572?t=QfCpIltO65vaxug5ZyvkMA&s=19

তবে বাস্তবে ঘটনাটি সত্যি। অবশেষে ঘাসফুল শিবিরেই পা রাখলেন বাবুল। আর এতপরই প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ তৃণমূলে তিনি? রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পরেও কেন শাসক দলে যোগদান তাঁর? এই সকল একাধিক প্রশ্নেরই এবার জবাব দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। জানালেন তাঁর রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের আসল কারণ। বাবুলের কথায়, "আমি মন থেকে রাজনীতি ছেড়েছিলাম। কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম। দিদি এবং অভিষেক আবার বাংলার জন্য কাজের সুযোগ দিয়েছেন। ওঁরা আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। আমি এতটা প্রত্যাশা করিনি। তাও সু্যোগ যখন পেলাম তা হাতছাড়া করতে চাইনি।"

কিন্তু সাত বছরের বেশি সময় ধরে বিজেপির সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী থাকার পরও আচমকা কেন দলবদলের এই সিদ্ধান্ত? বাবুল জানিয়েছেন, "মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করানোর সময় ডেরেকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তখনই তিনি আমাকে দলে স্বাগত জানান। গত চারদিনেই সিদ্ধান্তের বদল হল।" পাশাপাশি আসানসোলের বর্তমান সাংসদ জানান, খুব শিগগিরই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, "যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছি, তখন বিজেপির আসন ধরে রাখার প্রশ্নই নেই। আমি আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেব। নৈতিকতা মেনেই বিধিসম্মতভাবে পদত্যাগ করব আমি।" সূত্রের খবর, আগামী মঙ্গলবারই সাংসদের দায়িত্ব ছাড়তে পারেন বাবুল।

এরপর আরও প্রশ্ন উঠছে, তবে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবুল? তিনি জানান, "দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর ক্ষমতা সম্পর্কে সকলেই জানেন৷ তাই এই বিষয়ে নতুন করে কিছু বলছি না। মন্ত্রীত্ব না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যএবং বন্ধু বান্ধবরা অবাক হয়েছিলেন। এতদিন বিজেপিতে কাজের সুযোগ ছিল না। তৃণমূল সেই সুযোগ দিয়েছে। তাই সে সুযোগ গ্রহণ করতে বেশি সময় নিইনি। পরিবার ও বন্ধু বান্ধবও এতে খুশি।"

https://twitter.com/AITCofficial/status/1439172475657457669?s=19

তবে বিজেপির সাংসদ পদ ছাড়লেও বাবুলকে ফের তৃণমূলের সাংসদ করা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। অনেকেই মনে করছেন রাজ্যসভায় অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে দেওয়া আসনেই হয়তো বসানো হতে পারে বাবুলকে৷ যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেননি বাবুল। তাঁর কথায়, দল যে দায়িত্ব দেবে তা-ই মাথা পেতে নেবেন তিনি। আপাতত দলের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চান এই রাজনীতিবিদ৷