বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

বিজেপিতে যোগদানের জন্যই কি নারদ মামলায় গ্রেপ্তার নন মুকুল-শুভেন্দু? প্রশ্ন তৃণমূলের

১২:৪৯ পিএম, মে ১৭, ২০২১

বিজেপিতে যোগদানের জন্যই কি নারদ মামলায় গ্রেপ্তার নন মুকুল-শুভেন্দু? প্রশ্ন তৃণমূলের

আজ সকালেই গ্রেপ্তার হন নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃনমূল কংগ্রেসের চার নেতা-মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে নিয়ে আসা হয় তাঁদের। সূত্রের খবর, রাজ্যপালের অনুমতি মিললেই চার নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করবে সিবিআই। পাশাপাশি নারদ মামলায় অভিযুক্ত সাসপেন্ডেড আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার বিরুদ্ধেও পেশ করা হবে চার্জশিট। জানা গিয়েছে, তাঁদের আদালতেও পেশ করা হবে।

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে আজ সকালেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছান সিবিআই অফিসাররা। এরপর তাঁকে গাড়িতে করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফিরহাদের দাবী, বিনা নোটিসে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে মোকাবিলা করবেন তিনি। পাশাপাশি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও নিজাপ প্যালেসে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, ফিরহাদের গ্রেপ্তারির সময়ই বাড়ির বাইরে একাধিক তৃণমূল কর্মীদের বচসা বাঁধে। রাস্তায় শুয়ে এবং স্লোগান দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে পথ অবরোধ করা হয়। তবে মন্ত্রীর অনুরোধে পথ ছেড়ে দেন তাঁরা।

এসবের পরই সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। একই অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও নারদা-কাণ্ডে কেন ছাড় শুভেন্দু-মুকুলের? কেনই বা গ্রেপ্তার নন তাঁরা? প্রশ্ন তৃণমূলের। তাহলে কি বিজেপিতে যোগদানের জন্যই ছাড় পেয়েছেন শুভেন্দু-মুকুল? এমনটাও ধারণা করছে তৃণমূল। যদিও সিবিআই সূত্রে যুক্তি, এই মামলায় অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার জন্য লোকসভা অধ্যক্ষের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও সেই অনুমতি মেলেনি। এ ক্ষেত্রে ফের প্রশ্ন উঠেছে, মুকুল রায় যেহেতু রাজ্যসভার সাংসদ, সেক্ষেত্রে কি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি চেয়েছে সিবিআই? তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মুকুলের বিরুদ্ধে তেমন কোনও তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের থেকে অনুমতিও চাওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, বহুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। এবারের সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারীও। নির্বাচনের আগেই মেদিনীপুরে অমিত শাহর সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। এদিকে তিনি দলে যোগ দেওয়া মাত্রই নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও ডিলিট করে দেয় বিজেপি। তখনই কটাক্ষ শুরু হয় বিরোধীদের। তৃণমূল তখন এও দাবী করেছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাত থেকে বাঁচতেই বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু। আজ তৃণমূলের চার নেতা-মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেই সুত্র ধরেই প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে তৃনমূলের তরফে।