বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

৯ কিমি সাইকেল চালিয়ে খাবার দিতে এসেছিলেন! বাইক কিনতে জোম্যাটো কর্মীকে আর্থিক সাহায্য নেটিজেনদের

০১:২১ পিএম, জুন ১৮, ২০২১

৯ কিমি সাইকেল চালিয়ে খাবার দিতে এসেছিলেন! বাইক কিনতে জোম্যাটো কর্মীকে আর্থিক সাহায্য নেটিজেনদের

সাইকেল চালিয়ে খাবার ডেলিভারি করতে এলেন এক জোম্যাটো কর্মী। অল্প দূরত্ব নয়, প্রায় ৯ কিমি! তাঁর পরিস্থিতি দেখে মন গলে গেল খাবার গ্রাহকের। জোম্যাটো কর্মীটিকে বাইক কিনে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন জানালেন তিনি৷ মুহূর্তেই সাড়া দিলেন একাধিক নেটিজেন। সকলের আর্থিক সহায়তায় বাইক কিনে দেওয়া হল জোম্যাটো কর্মীকে৷ সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে হায়দ্রাবাদে।

১৪ ই জুন, রাত দশটা নাগাদ হায়দ্রাবাদের রাজা কোটির বাসিন্দা রবিন মুকেশ জোম্যাটোতে খাবার অর্ডার দেন। অর্ডারটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য জোম্যাটোর ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ মোহাম্মদ আকিল আহমেদকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যেই খাবারটি মুকেশের হাতে পৌঁছে দেন তিনি। মুকেশ যখন অর্ডার সংগ্রহ করতে গেলেন তখন তিনি অবাক হয়ে দেখেন যে ডেলিভারি এক্সিকিউটিভটি সাইকেলের চালিয়ে অর্ডার পৌঁছে দিতে এসেছেন। শুধু তাই নয়, প্রায় ৯ কিমি পথ সাইকেল চালিয়ে খাবারটি মুকেশের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি।

এরপরই আকিলের একটি ছবি তুলে ফেসবুকে একটি প্রশংসাসূচক পোস্টের মাধ্যমে জোম্যাটো কর্মীটির পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন মুকেশ। পোস্টটির প্রতিক্রিয়ায়, প্রচুর নেটিজেন জোম্যাটো কর্মীটির শুধু প্রশংসা নয়, বরং তাঁকে আর্থিক সাহায্য করারও পরামর্শ দেন। এরপরই 'দ্য গ্রেট হায়দরাবাদ ফুড অ্যান্ড ট্র্যাভেল ক্লাব'-এর সক্রিয় সদস্য মুকেশ গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের সহায়তায় শুরু করেন সোশ্যাল মিডিয়ায অর্থ সংগ্রহের কাজ৷ যা শুরু করার ১০ ঘণ্টার মধ্যেই ৬০ হাজার টাকা জোগাড় করে ফেলেন মুকেশ ও ওই ফেসবুক গ্রপের সদস্যরা।

[caption id="attachment_19148" align="alignnone" width="1000"]৯ কিমি সাইকেল চালিয়ে খাবার দিতে এসেছিলেন! বাইক কিনতে জোম্যাটো কর্মীকে আর্থিক সাহায্য নেটিজেনদের ৯ কিমি সাইকেল চালিয়ে খাবার দিতে এসেছিলেন! বাইক কিনতে জোম্যাটো কর্মীকে আর্থিক সাহায্য নেটিজেনদের[/caption]

অবশেষে মোট ৭৩,৩৭০ টাকা তুলে দেওয়া হয় ওই ফুড ডেলিভারি এক্সিকিউটিভের হাতে। অজানা মানুষগুলির কাছ থেকে এই সাহায্য পেয়ে যথারীতি আপ্লুত আকিল। তিনি জানিয়েছেন, "এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জোম্যাটোর সঙ্গে কাজ করছি। আমি এখন অভ্যস্ত। আমার কোনও যানবাহন নেই এবং আমার আর্থিক অবস্থার কারণে আমার সমস্যা নির্বিশেষে আমাকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এই উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এটি সত্যিই উদারতার পরিচয়।"