শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনা আবহের সুযোগে অ্যাক্টিভ ‘গুজরাট গ্যাং’! ওয়ার্ক ফ্রম হোমের আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা

১০:২২ পিএম, আগস্ট ১৪, ২০২১

করোনা আবহের সুযোগে অ্যাক্টিভ ‘গুজরাট গ্যাং’! ওয়ার্ক ফ্রম হোমের আশ্বাস দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা অতিমারির কারণে বহু মানুষ ঘরবন্দি। করোনা অনেক কিছুই পাল্টে দিয়েছে। করোনার জেরে বহু মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে। কোথাও আবার বেতন অর্ধেক হয়েছে। আবার এই করোনার কারণেই ওয়ার্ক ফর্ম হোম কালচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে মানুষ। এখন অনেকেই বাড়ি বসে রোজগারের সুযোগ খুঁজছেন। আর এই সুযোগকেই হাতিয়ার করে, এক নয়া জালিয়াতির চক্র ফেঁদে বসেছিল গুজরাতের দুই ব্যক্তি।

সেই জালিয়াতির চক্রের জাল ছড়িয়েছিল এই রাজ্যেও। অনলাইনে বাড়ি বসে ডেটা এন্ট্রির কাজ! এই ধরনের বিজ্ঞাপনে আকর্ষিত হয়ে অনেকেই যোগাযোগ শুরু করেন। ব্যস তাতেই ফাঁদে পা পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিজ্ঞাপন দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে ভিনরাজ্য থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃত দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোন ও বেসরকারি ব্যাংকের প্রচুর ডেবিট কার্ড।

অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাটা এন্ট্রির জন্যে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিজ্ঞাপন দিত উক্ত সংস্থা। সেই বিজ্ঞাপনে উৎসাহী যুবসমাজ তাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে, চাকরি প্রার্থীদের কাজ শুরু করার আগে একটি এগ্রিমেন্ট পাঠানো হত। যেখানে কোম্পানির টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশন লেখা থাকতো। সেই এগ্রিমেন্ট সাক্ষর করে পাঠানোর পরই তাঁরা কাজ শুরু করতেন। তবে, কাজ শুরু করার পরে স্টাফদের তরফ থেকে যে ডাটা এন্ট্রি করা হত সেই ডাটা ভুল এন্ট্রি করা হয়েছে এই জানিয়ে, উকিলের চিঠি পাঠানো হত এবং বহু পরিমাণ জরিমানা দাবি করতো ওই সংস্থা। এইভাবে প্রতিটি স্টাফের থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হুমকি দিয়ে আদায় করতো এই অভিযুক্তরা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, উকিল মারফৎ যে চিঠি পাঠানো হতো, সেটিও ভুল এবং ভুয়ো বলেই অভিযোগ।

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৬ জুলাই এই ধরনের একটি অভিযোগ জমা পড়ে, বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায়। সেই তদন্ত শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস এবং আই পি অ্যাড্রেস খতিয়ে দেখে, গুজরাট থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তাদের নাম চন্দন বাবু ভাই লাঠিয়া এবং ভাগানি চিন্তান ভরত। তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল, ৭টি ডেবিট কার্ড, একটা আঁধার কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৭ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাদের কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার তাদের বিধাননগর আদালতে তোলা হয় এবং নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এই ঘটনার সঙ্গে একটি বড়সড় চক্র জড়িত আছে বলেও পুলিশ জানতে পেরেছে। তাদেরও খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।