বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সাবধান! রেশন কার্ডে এই তথ্যগুলি ভুল থাকলে হতে পারে ৫ বছর জেল ও জরিমানা

০১:০৮ পিএম, জুন ১২, ২০২১

সাবধান! রেশন কার্ডে এই তথ্যগুলি ভুল থাকলে হতে পারে ৫ বছর জেল ও জরিমানা

দেশের সাধারণ নাগরিকের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই রেশন ব্যবস্থার সূচনা। আর রেশনের খাদ্য সামগ্রী ন্যূনতম মূল্যে বা বিনামূল্যে সংগ্রহ করার জন্য প্রয়োজন রেশন কার্ডের। তাই প্রতিটি মানুষের কাছে রেশন কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি। এতে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া থাকে। সেই তথ্যগুলি অবশ্যই সঠিক হওয়া প্রয়োজন। কারণ এই রেশন কার্ডে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনও ভুল তথ্য দেওয়া হলেই হতে পারে ৫ বছরের জেল এবং জরিমানা৷ তাই অবশ্যই সাবধান!

দেশে তিন ধরনের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে- এপিএল, বিপিএল এবং অন্ত্যোদয়। অর্থনৈতিক সামর্থ্য বুঝেই এই কার্ডগুলি দেওয়া হয়ে থাকে। দেশের দারিদ্র্যসীমার ওপরে থাকা নাগরিকরা পান এপিএল কার্ড। দারিদ্র সীমার নীচের নাগরিকরা পান বিপিএল কার্ড এবং তার থেকেও অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারগুলির জন্য বরাদ্দ থাকে অন্ত্যোদয় কার্ড। আর এই তিন ধরনের কার্ড নিয়েই জালিয়াতি হয়৷ সাধারণত অন্ত্যোদয় রেশন কার্ডপ্রাপ্ত মানুষেরা এপিএল ও বিপিএল কার্ডপ্রাপকদের তুলনায় বেশি রেশন পান। তাই এক্ষেত্রে বেশ কিছু জালিয়াতির খবর শোনা যায়।

অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, দেশের বহু নাগরিক নানা ভুল তথ্য দিয়ে বিপিএল এবং অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড করিয়ে থাকেন। তারা দারিদ্র্য সীমা ওপরে বসবাস করলেও জালিয়াতি করে এ কাজ করেন৷ আবার অনেক সময় রেশন কার্ডপ্রাপক কোনও ব্যক্তির মৃত্যুর পরেও মৃত ওই ব্যক্তির নামে রেশন সামগ্রী সংগ্রহ করছেন পরিবারের সদস্যরা। এসব জালিয়াতি রুখতেই ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকারের তরফে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কেন্দ্র সরকারের তরফে এও ঘোষণা করা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি রেশন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে ভারতের খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুসারে ৫ বছরের জেল এবং জরিমানা অথবা যেকোনও একটি হতে পারে। এমন কোনও ঘটনা নজরে এলেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্র সরকারের প্রদত্ত হেল্পলাইন নম্বরে অভিযোগ জানানোর কথাও বলা হয়েছে। এছাড়াও ই-মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে। দোষী প্রমাণ হলেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।