সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তার দল ক্ষমতায় এলেও এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে পরাজয় হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেও আগামী ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোন একটি কেন্দ্র থেকে জিততে হবে তাকে। এদিকে ভবানীপুরে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার এই কেন্দ্র থেকেই উপ নির্বাচনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাকে জিততে এবার বাধা দিতে পারে নির্বাচন কমিশন। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা।
শনিবার টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় যাওয়া আটকাতে আগামী কয়েকমাসে কোনও নির্বাচনের আয়োজনই করবে না নির্বাচন কমিশন।’ কিন্তু এখনও ৬টি আসনে উপনির্বাচন করতে হবে। কারণ সেখানের আসনটি খালি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যশবন্তের টুইট রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দিয়েছে।
https://twitter.com/YashwantSinha/status/1401136102438674432উল্লেখ্য, এবার ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তৃণমূলনেত্রী। তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপক ব্যবধানে জয় পেলেও অল্প কিছু ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হেরে যান। আর ভবানীপুর থেকে মমতার ছেড়ে যাওয়া আসনে জয়ী হন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
যদিও পরে তিনি ওই আসনের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ওই আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে কমিশন গড়িমসি করবে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যশবন্ত সিনহা। এখন দেখার বিষয়, নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে ঠিক করে কমিশন।