বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

স্থিতিশীল রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন, দেহের তিনটি স্থানে প্লাস্টিক সার্জারির পরিকল্পনা চিকিৎসকদের

১১:২৬ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১

স্থিতিশীল রাজ্যের মন্ত্রী জাকির হোসেন, দেহের তিনটি স্থানে প্লাস্টিক সার্জারির পরিকল্পনা চিকিৎসকদের
বংনিউজ২৪x৭ডিজিটাল ডেস্কঃ শক্তিশালী বোমার আঘাতে জখম রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের গতকালই পায়ে অস্ত্রোপচার হয়েছে। আপাতত স্থিতিশীলই রয়েছেন মন্ত্রী। তবে, আগামী আরও ২৪ ঘণ্টা তিনি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে যে, এরপরে প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁর ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গের চিকিৎসা ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু করবেন। জানা গিয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে দেহের তিনটি জায়গায় প্লাস্টিক সার্জারির পরিকল্পনা করা হয়েছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে বাঁ পায়ের গোড়ালির উড়ে যাওয়া অংশ কোষ ও টিস্যু প্রতিস্থাপন করে পুনর্গঠন করা হবে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, পায়ের ছিঁড়ে যাওয়া শিরা-উপশিরা হাত থেকে সংগ্রহ করা হবে। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই হাত থেকে ধমনী কেটে নিয়ে, পায়ের ধমনী মেরামত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বুড়ো আঙুলের প্লাস্টিক সার্জারিও করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রী জাকির হোসেনের পায়ের ত্বকও কিছুটা জোড়া লাগানো হয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে অপারেশন করা হয়েছে। এই অপারেশনের পরেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, মন্ত্রী আপাতত বিপন্মুক্ত। উল্লেখ্য, এই বিস্ফোরণের ঘটনার পরই শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁকে Z ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতে দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই, বাকি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে কলকাতা যাচ্ছিলেন জাকির হোসেন। রাতে নিমতিতা স্টেশন থেকে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস ধরার জন্য ২ নম্বর প্লাটফর্মে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে দলীয় কর্মীরাও ছিলেন। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন মন্ত্রী-সহ আরও অনেকেই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা এখনও অব্যাহত। উল্লেখ্য, মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মার নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। বিশেষ তদন্তকারী দলে রয়েছে এসটিএফ, আইবি, সিআইএফ, স্থানীয় পুলিশ।