দীর্ঘমেয়াদী সময় ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে শাসন করে চলেছেন তিনি। আর তাই আজও বাংলার ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে পরিচিত তিনিই। বলাই বাহুল্য, একটা সময় নিম্নমুখী বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে একার হাতে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। শহরের দর্শকদের পাশাপাশি তিনি সমান গুরুত্ব দিয়েছিলেন গ্রাম বাংলাকে। না নির্বাচন করেননি তখন কোনও সিনেমা। প্রসেনজিৎ মানেই তখন অসামান্য অভিনয়ের থেকেও এগিয়েছিল এন্টারটেইনমেন্ট।
আর তাই সেই সমস্ত সিনেমার মান নির্বাচন করা যাবে না। কারণ তখন শিল্পের থেকেও বেশি গুরুত্ব পেয়েছিল, গান, নাচ, ইমোশন, অ্যাকশনে বাঙালিকে হল মুখী করা। আর সেই যুগে দাড়িয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee) ব্যতীত এই কাজ আর করতে পারেননি অন্য কোনও অভিনেতাই। যদিও সময়ের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে তার অভিনয়ের ধরণ। অন্যদের হাতে ব্যাটন ধরিয়ে জেগে উঠেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের শিল্প সত্ত্বা।
তবে অভিনয় জীবন যতটাই প্রশংসা পেয়েছেন তিনি, ঠিক ততটাই বিতর্কিত তার ব্যক্তিগত জীবন। বিভিন্ন সময়ে পেজ থ্রির পাতা রঙিন হয়েছে তার ব্যক্তিগত জীবনে মুচমুচে গল্পে। দুটি ব্যর্থ বিয়ের পর তিনি তৃতীয় বার বিয়ে করেন তার থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট অভিনেত্রী অর্পিতা পালকে। তাদের এক সন্তান। তৃষানজিৎ। যদিও অভিনেতার আরও এক কন্যা সন্তান রয়েছে প্রেরণা। যদিও তার অভিনেতার সেই অর্থে কোনও সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি সরস্বতী পুজোয় ছেলের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত ভাগ করে নিলেন অভিনেতা। তৃষাণজিৎ এখন বাবার কাঁধ ছাড়িয়ে গেছে। ভক্তদের অনুমান সেও বাবার মতোই অভিনয় পেশাতেই পা রাখতে চলেছেন। আর এই বছর সরস্বতী পুজোয় প্রায় ১২ বছর পর আবার বাবা এবং ছেলেকে অন্য মেজাজে দেখা গেল। এই বছর ছেলেকে নিয়ে প্রসেনজিৎ একসঙ্গে করলেন সরস্বতী পুজো। এই মুহুর্ত অভিনেতার কাছে ছিল আবেগের। বিশেষ দিনে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবি। তার উপর কালো লাল সুতোর জামদানি কাজ করা। আর তৃষাণজিতের পরনে আকাশি রঙা পাঞ্জাবী।