চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ভারতীয় দলের বোলাররা। বিশেষ করে মাঠে আগুন ঝরাচ্ছেন ভারতীয় পেসাররা। দলের জয়ে উল্লেখযোগ্য অবদানও রেখেছেন। তবে দলের স্বার্থে টানা বোলিং করে চলেছেন ভারতীয় পেসাররা। গ্রুপ পর্বের পাঁচটি ম্যাচেই খেলেছেন ভারতীয় দলের তিন সিমার। এবার তাই তাঁদের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য নিজেদের বিমানের আসনও ছেড়ে দিলেন বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মারা।
বিশ্বকাপের বিভিন্ন ম্যাচ খেলার জন্য সাধারণত এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণ করতে হয় প্রতিটা দলকেই। কারণ প্রতিটি ম্যাচের ভেন্যু থাকে আলাদা। তেমনই অস্ট্রেলিয়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সফর করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে্ব। পাঁচ ম্যাচের জন্য কখনও সিডনি, কখনও এডিলেড, মেলবোর্নে ছুটতে হয়েছে।
হিসেব করে দেখা গিয়েছে, বিশ্বকাপ অভিযানে এসে ভারতীয় দলকে আকাশপথে ৩৪ হাজার কিমি ট্র্যাভেল করতে হয়েছে। তিনটে আলাদা আলাদা টাইম জোন মিলিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে কোহলিদের। কখনও কনকনে ঠান্ডা, কখনও আবার গরমের আবহাওয়া। সবমিলিয়ে যা পেসারদের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। আর পেসাররা যাতে এরকম পরিস্থিতিতে চোটের শিকার না হন, সেই জন্য কোহলি-রোহিতরা নিজেদের বিজনেস ক্লাসের সিটও ছেড়ে দিলেন।
টিম ম্যানেজমেন্টের এক সূত্র জানিয়েছেন, “টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, পেসাররাই মাঠে বাকি সকলের থেকে বেশি পরিশ্রম করে থাকেন। তাই ট্র্যাভেল করার সময় যাতে তাঁরা পর্যাপ্ত বিশ্রাম পান, পা ছড়িয়ে বসতে পারেন, সেই জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।”
এমনিতে বিশ্বকাপ সংগঠকদের তরফে প্রত্যেক দলকে চারটে করে বিজনেস ক্লাসের আসনের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। যে টিকিট বরাদ্দ দলের ক্যাপ্টেন, ভাইস ক্যাপ্টেন, কোচ এবং টিম ম্যানেজারের জন্য। বাকিদের ট্র্যাভেল করতে হবে ইকোনমি ক্লাসে। তবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট যখনই হিসাবে করে বুঝতে পারল, প্ৰত্যেক তিন-চারদিন অন্তর ছাড়াই বায়ুপথে এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে ভ্রমণ করতে হবে, তখনই দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করা চার সিমার- আর্শদীপ সিং, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে দলের জন্য বরাদ্দ চার বিজনেস ক্লাসের আসনে নিয়ে যাওয়া হবে। আর দলের স্বার্থে আত্মত্যাগ করতে প্রস্তুত হয়ে যান কোহলি-রোহিতরাও।