পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬০ রানের ইনিংস খেলে সমস্ত সমালোচনার জবাব দিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আর ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ফের বিস্ফোরক তিনি। যে সময় রান পাচ্ছিলেন না, সেই সময় বিরাটকে নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন। কেউ বলেছিলেন রান না পাওয়ায় অনেক বড় ব্যাটারকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা হলে বিরাটকে কেন বসানো হবে না? অনেকে মনে করেছিলেন ছন্দে না থাকা বিরাটকে এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় প্রতিযোগিতায় খেলানোই উচিত নয়। এদিন ব্যাট হাতে তাঁদের সকলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন বিরাট।
তবে সাংবাদিক সম্মেলনেতাঁর খারাপ সময় প্রশ্ন উঠতেই বলেন বিস্ফোরণ ঘটালেন টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন অধিনায়ক। একাধিক সতীর্থ ও প্রাক্তনদের দিকে আঙুল তুললেন। পাশাপাশি মহেন্দ্র সিং ধোনিকে (Mahendra Singh Dhoni) কুর্নিশ জানালেন বিরাট। এই বছরের শুরুতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বিরাট। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, এক জন মাত্র প্রাক্তন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করেছিল। অনেকের কাছেই আমার নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিলেন শুধু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়। সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত।”
তিনি আরও বলেন, "এমএস ধোনির থেকে আমার কিছু চাই। না এমএস আমার কাছ থেকে কোনও সাহায্য চেয়েছে। আমরা দুজন কেউ কাউকে নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে ভুগি না। সেইজন্য আমাদের সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে। সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত। আমি যদি কাউকে সাহায্য করতে চাই, তাহলে সেই লোকটার কাছে গিয়ে কথা বলব। পুরো দুনিয়াকে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাতে যাব না। যদি আপনি পুরো দুনিয়ার সামনে কাউকে সাহায্য করেন, তাহলে এর কোনও মূল্য নেই। আমার ব্যাটিংয়ের উন্নতির জন্য ওয়ান টু ওয়ান কথা বলা যেতেই পারে। আসলে আমি খুব সৎভাবে জীবনযাপন করি। তাই বাইরের ঘটনা আমাকে মাঝেমধ্যে প্রভাবিত করে।"
সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar) কয়েক মাস আগে বলেছিলেন, বিরাট তাঁকে ১০ মিনিট দিলে তিনি বিরাটের খারাপ সময় কাটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কপিল দেব (Kapil Dev) আরও একধাপ এগিয়ে বলেছিলেন, বিশ্বের এক নম্বর স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে যদি বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বিরাটকেও দলের বাইরে রাখা উচিত। এছাড়া বিসিসিআই সভাপতি (BCCI President) সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) থেকে শুরু করে বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sehwag) সবাই বিরাটের খারাপ সময় তাঁর ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেললেন `কিং কোহলি`। সেটা তাঁর চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ করার পর, হংকং-এর বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রান। আর এ বার দল হারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এল ৪৪ বলে ৬০ রান।