আগামী ২৬ শে ফেব্রুয়ারি মহা শিবরাত্রিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মহাকুম্ভ মেলা। বলাই বাহুল্য, ভারতবর্ষের বুকে সব থেকে বড় ধর্মীয় মেলার নাম অবশ্যই কুম্ভ মেলা। এই মেলায় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষের সমাগম হয়। আর মহা কুম্ভের পবিত্র জলে ডুব দিয়ে পাপ খন্ডন করে পূণ্য অর্জনের জন্য কাতারে কাতারে ভক্তের সমাগম হয়।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে গত ১৩ ই জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তির দিন থেকে শুরু হয়েছে এই মেলা। শেষ হবে আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রিতে। প্রত্যেক ছয় বছর অন্তর কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হলেও এই বছর বিশেষ কিছু যোগের কারণে তার রূপান্তরিত হয়েছে মহাকুম্ভে। ১৪৪ বছর পর নাকি তৈরি হয়েছে মহাকুম্ভ যোগ। আর এই বিশেষ যোগের কারণেই চলতি বছরে ভারতজুড়ে মহাকুম্ভ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে এক আলাদাই উন্মাদনার পারদ চড়েছে।
তবে শুধুই কি ভারতবর্ষ? এর আগে আমরা প্রচুর বিদেশীকে এই মেলায় পূণ্য স্নান করতে দেখেছি। আর এবার ভারতবর্ষের এই পবিত্র মেলায় আসছেন পাকিস্তানিরাও। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। তবে যিনি এসেছেন তিনি পাকিস্তানি হিন্দু। প্রায় ৪০০ হিন্দু ও শিখের চিতাভস্ম নিয়ে প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে এসেছেন পাকিস্তানি নাগরিক রামনাথ মিশ্র। প্রায় ৯ বছর ধরে সংগ্রহ করে রাখা এই চিতাভস্ম এবার ভাসাবেন তিনি।
জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে প্রায় ৪০০টি চিতাভস্মের কলসি ভারতে নিয়ে এসেছেন তিনি। সবকটি চিতা ভস্মই হিন্দু ও শিখদের। ২১শে ফেব্রুয়ারি ত্রিবেণি সঙ্গমের জল নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। তারপর নিগম ঘাটে ভস্মের কলসপুজোর পর ২২শে ফেব্রুয়ারি শোভাযাত্রা করে ওই চিতাভস্ম হরিদ্বারের পবিত্র সতীঘাটে ভাসানো হবে।
নিজের পুরো পরিবারকে নিয়েই এসেছেন রামনাথ। জানা গেছে, রামনাথ মিশ্র পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। তারা বংশানুক্রমে গত ১৫০০ বছর ধরে করাচির পঞ্চমুখী হনুমান মন্দির ও শ্মশানে পৌরোহিত্য করছেন। রামনাথ মিশ্র বর্তমানে রয়েছেন, মহাকুম্ভ মেলা প্রাঙ্গণের সেক্টর ২৪। এমনকি মহাকুম্ভে এসে স্বামী অধ্যক্ষজানন্দের কাছে নিজের ন’বছরের ছেলের উপনয়নও করিয়ে ফেলেছেন এই পাকিস্তানি পুরোহিত।