ভারতবর্ষে যতগুলি তীর্থযাত্রা হয় তার মধ্যে অন্যতম হল কেদারনাথ যাত্রা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই যাত্রা বিশেষ পুণ্যের। প্রত্যেক বছরের নির্দিষ্ট সময়ে দরজা খুলে যায় বাবা কেদারনাথের। আর বাবার দর্শন করতে কাতারে কাতারে মানুষ রওনা দেন কেদারের উদ্দেশ্যে। । ১২ টি জ্যোতির্লিঙ্গের এর অন্যতম লিঙ্গ কেদারনাথ দর্শনের জন্য প্রতি বছর উত্তরাখণ্ডে আসেন বহু মানুষ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই কেদারনাথ পৌঁছানো যায় না। যথেষ্ট কষ্ট করেই বাবার দর্শন পেতে হয়।
তবে শুধু হেঁটে ওঠা নয়, বর্তমান সময়ে ডুলি, ঘোড়া এমনকি হেলিকপ্টারেরও সুবিধা রয়েছে কেদারনাথ যাত্রার ক্ষেত্রে। আর যে কারণে প্রত্যেক বছর মানুষ বাবা কেদারের দর্শনে আসেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বার বার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেদার। প্রাণ হারিয়েছেন বহু পুন্যার্থী। কিন্তু বাবাকে দর্শনের টান অমোঘ। আর তাই প্রত্যেক বছর, অসংখ্য মানুষ বাবার দর্শনে ছুটে যান।
তবে সবার পক্ষে হেঁটে ওঠা সম্ভবপর হয় না। হেলিকপ্টারেরও খরচ বিশাল। একইসঙ্গে আবার দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা থাকে। আর এবার কেদারনাথের যাত্রাপথে যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি যান।কেদারনাথ-রুটে এবার চলবে রোপওয়ে। পথ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। উল্লেখ্য, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথের পথে রোপওয়েটি চলবে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে।
রোপওয়ের পথ চালু হয়ে গেলে এই রোপওয়েতে চেপেই এবার খুব অনায়াসে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথে পৌঁছে যাবেন ভক্ত থেকে পর্যটকরা। উল্লেখ্য, এই রোপওয়ে তৈরি করতে খরচ হবে ৪ হাজার ৮১ কোটি টাকা। জানা গেছে, সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ যাওয়ার দীর্ঘ ৮-৯ ঘণ্টার যাত্রাপথ মাত্র ৩৬ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যাবে এবার।