ভারতবর্ষ জুড়ে সবসময়ই কোনও না কোনও এক উৎসব চলতে থাকে। আর এই সময় চলছে মহাকুম্ভ উৎসব। আর এই মহাকুম্ভের মেলায় এখন পুণ্য কামানোর ভিড় । গোটা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের অজস্র কোটি মানুষ এখন সঙ্গমে স্নানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে কুম্ভে। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলা শুরু হয়েছে গত ১৩ ই জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তিতে। শেষ হবে আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি, মহা শিবরাত্রিতে।
এমনিতে প্রত্যেক ছয় বছর অন্তর আয়োজিত হয় কুম্ভ মেলা। তবে এই বছর কুম্ভের মেলা নিয়ে মানুষ জনের মধ্যে উৎসাহ যেন একটু বেশি। আসলে ১৪৪ বছর পর নাকি তৈরি হয়েছে মহাকুম্ভ যোগ। আর তাই সাত সপ্তাহ ধরে চলা এই মহামেলা নিয়ে এ বার অতি উৎসাহী ভারতবাসী। শুধু কি দেশ বিদেশ থেকেও বহু মানুষ আসছেন কুম্ভের মেলায় স্নান করতে। এসেছেন একের পর এক তারকাও।
তবে এই বছর কুম্ভ পুন্যের থেকে বোধহয় বেশি পাপেরও। একের পর এক দুর্ঘটনা, অঘটন ঘটেছে এই বছর কুম্ভ মেলায়। মারা গেছেন বহু মানুষ, পদপিষ্ট হয়েছেন, অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে হার্ট ফেল করেছেন। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই কুম্ভমেলাকে হাতিয়ার করে যোগী আদিত্যনাথকে কোণঠাসা করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। কিন্তু সেই বিরধীদের থেকে কিছুটা আলাদা বঙ্গ অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লি যাত্রা করেছেন তিনি। এরই মাঝে মহাকুম্ভে গিয়ে পিতৃতর্পন করেছেন তিনি। যখন এক দিকে মৌনি আমাবস্যার দিন ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা নিয়ে সবাই যোগী সরকারকে নিশানা করেছেন, তখনই উত্তরপ্রদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে দারুণ খুশি রচনা। কী বলেছেন তিনি? অভিনেত্রী সাংসদের কথায় এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা। ওখানকার ব্যবস্থাপনা তুলনাহীন। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। তবে এত বড় ভিড় সামলানোর জন্য আয়োজকদের কুর্নিশ। কোটি কোটি মানুষের জন্য শৌচাগার থেকে শুরু থাকার ব্যবস্থা, জলে নেমে যাতে কেউ ডুবে না যান, সে জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করা এ এক দারুণ ব্যাপার।