প্রতি বছরের মতো এবারও ২১ জুলাই 'শহিদ দিবস'-এর অনুষ্ঠান পালন করল তৃণমূল। করোনা আবহে ব্রিগেডে শহিদ দিবস পালন করা সম্ভব হয়নি। বদলে ভার্চুয়ালি আয়োজন করা হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের। শুধু বাংলাই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাতে মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এদিন একুশের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক কী কী বললেন? দেখে নেওয়া যাক ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য।
[caption id="attachment_23200" align="alignnone" width="1280"] লক্ষ্য ২০২৪, ক্ষমতায় এলে সারা দেশে ফ্রিতে রেশন! একুশের মঞ্চে মমতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ[/caption]১. ২৪-এ ঠিক কী হবে জানি না। বিজেপি হাইলোডেড ভাইরাস। করোনার থেকেও বিপদজনক সব ভাইরাস রয়েছে বিজেপিতে। ওদের মন্ত্রীরাও সুরক্ষিত নয়। সুপ্রিম কোর্টকে পেগাসাস নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
২. সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া করতে চাই। বিজেপিকে যতদিন না দেশছাড়া করতে পারছি ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেলা হবে।
৩. প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর৷ প্রশ্ন তুললেন, "আপনি কটা রাজ্যে বিনামূল্যে রেশন দেন?" পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। তৃনমূল ক্ষমতায় এলে বিনামূল্যে সারা দেশে রেশন দেওয়া হবে।
৪. বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী কোনও হিংসা হয়নি। যা হয়েছে সব ভোটের আগে। বিজেপি সদস্য মানবাধিকার কমিশনে বসে ভুলভাল রিপোর্ট দিচ্ছেন।
৫. জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং ভ্যাকসিনের আকাল নিয়ে প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন।
[caption id="attachment_23201" align="alignnone" width="1280"] লক্ষ্য ২০২৪, ক্ষমতায় এলে সারা দেশে ফ্রিতে রেশন! একুশের মঞ্চে মমতার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ[/caption]৬. গোটা দেশে বেকারত্ব বেড়ে চলেছে। আমরা সবার কথা ভাবি, বিজেপি শুধু দলের কথা ভাবে। আমরা বাংলার পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ ঋণ টাকা করে দিচ্ছি। কৃষকদের ১০ হাজার টাকা করে দিই। সবাইকে স্বাস্থ্যসাথী দিই। বিনামূল্যে চিকিৎসা দিই।
৭. মোদিকে খোঁচা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, মহব্বত কাম সে হোতা হ্যায় মোদিজি, মন কি বাত সে নেহি। বিজেপির মগজে শুধু মরুভূমি। টাকা দিয়ে চেয়ারে থাকা যায় না। মানবতা দিয়ে থাকতে হয়। ভালবাসা দিয়ে থাকতে হয়।
৮. করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা করে নি। করোনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ন্ত্রণ না করে আপনি বাংলায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। রোগীর মৃত্যুর পর ডাক্তার এলে কোনও লাভ হয় না। এখন আর সময় নেই।
৯. শুধু হিংসা আর বিভাজনের রাজনীতি করে বিজেপি। আমরা বাংলার মানুষ। আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দের মাটি থেকে এসেছি। আমরা বিভাজন চাই না।
১০. দেশে ঐক্যবদ্ধ মঞ্চ তৈরি করতে হবে। আমাদের এক হতে হবে। নিজেদের স্বার্থ ভুলতে হবে। আমাদের একটাই স্বার্থ, মানুষকে বাঁচানো, দেশকে বাঁচানো, সব রাজ্যকে বাঁচানো। এখনও আড়াই বছর বাকি। লক্ষ্য ২০২৪।