বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশের করোনা পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, এখনও সম্পূর্ণ বাগে আসেনি দেশে করোনা পরিস্থিতি। এরই মধ্যে আবার এ মাসেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করছেন। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের করোনা রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ১০ টি রাজ্যকে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দেশের এই ১০ টি রাজ্যের ৪৬ টি জেলায় এখনও করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের উপরে। সেই কারণেই ওই জেলাগুলির উপর কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উক্ত রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, এইসব জেলায় যাতে কোনোরকম জমায়েত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।
উল্লেখ্য যতজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, তার মধ্যে কতজন আক্রান্ত হয়েছেন, সেই হিসেবকেই বলা হয়, ‘পজিটিভিটি রেট’। আর এই ৪৬ টি জেলার সেই ‘পজিটিভিটি রেট’ ১০ শতাংশের বেশি। শনিবারই কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ওই সব জেলায় দ্রুত কড়া বিধিনিষেধ জারি করতে হবে। পাশাপাশি তিনি সতর্কতা হিসেবে এও উল্লেখ করেছেন যে, ঢিলেমি দিলেই বা কোনোরকম ছাড় দিলেই, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে। যে ১০ টি রাজ্যের ৪৬ টি জেলার করোনা পরিস্থিতি ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে সেগুলি হল, মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মণিপুর।
এইসব রাজ্যের জেলায় দ্রুত টেস্ট বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। হোম আইসোলেশনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ বলেন, ‘অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হচ্ছে ওই রাজ্যগুলিকে। এছাড়া রাজ্যগুলিও নিজেদের পরিকাঠামো কার্যকর করছে।’
অন্যদিকে, দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গত কয়েকদিন ধরে ৪০ হাজারের উপরে রয়েছে। যদিও মাঝে তা কমে ৩০ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু ফের তা ৪০ হাজার অতিক্রম করে। বিষয়ে সতর্ক করেছেন আইসিএমআরের ডিজি ড. বলরাম ভার্গভ। করোনার পরীক্ষা বাড়ানোর পাশাপাশি তিনি টিকাকরণের গতি আরও বাড়ানোর উপর জোর এবং গুরুত্ব আরোপ করেছেন।