শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাড়ছে আতঙ্ক! ফের Black Fungus আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলল কলকাতায়

০২:৫৩ পিএম, মে ২৩, ২০২১

বাড়ছে আতঙ্ক! ফের Black Fungus আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলল কলকাতায়

বংনিউজ২৪x৭ ডেস্কঃ করোনার জেরে নাজেহাল দেশ সহ রাজ্যবাসী। আর এবার করোনা আতঙ্কের মাঝেই ক্রমশ মাথা চাড়া দিয়ে বাড়ছে Black Fungus-এর সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই Black Fungus (মিউকরমাইকোসিস) এ আক্রান্ত হয়ে গত শুক্রবার কলকাতার শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। নাম শম্পা চক্রবর্তী (৩২), হরিদেবপুরের বাসিন্দা তিনি। আর এবার ফের আরও এক Black Fungus (মিউকরমাইকোসিস) এ আক্রান্ত ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেল কলকাতায়।

জানা গেছে, মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি সদ্য করোনা কে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন। আর তারপর তিনি আবারও অসুস্থ হন। এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করলে তাঁর শরীরে Black Fungus (মিউকরমাইকোসিস) এর হদিশ পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি ভর্তি আছেন আরএন টেগোর হাসপাতালে। তবে এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। আগামীকাল তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটিও পেতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে ধীরে ধরে রাজ্যে Black Fungus এর আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে Black Fungus (মিউকরমাইকোসিস) এর জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য দফতর Black Fungus এর চিকিৎসার প্রোটোকল ও একটি নির্দেশিকাও তৈরি করেছে বলে সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি Black Fungus নিয়ে আগাম সতর্কতা নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। কালো ছত্রাকজনিত এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি রাজ্যে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, রোগটিকে ‘মহামারী আইন’-এর আওতায় রাখতে হবে। এছাড়াও এই রোগ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনার মতোই নতুন এই মহামারীর সঙ্গে লড়তে কোমড় বেঁধে নেমেছে সরকার

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই রোগ সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে AIIMS। সেখানে এই রোগে উপসর্গ থেকে শুরু করে সংক্রমণ হলে কী করবেন সেই সংক্রান্ত সমস্ত পরামর্শ দেওয়া রয়েছে। কালো ছত্রাকজনিত বিরল এই রোগ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে৷ বিশেষ করে করোনা আক্রান্তদের শরীরেই বাসা বাঁধছে এই রোগ। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিক রোগীদের শরীরে এই ছত্রাকের সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। মূলত যাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রয়োগের মাত্রা বেশি রয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে রোগের উপসর্গগুলি ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে ENT ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতো সুগার কোন স্তরে আছে সেটি পরীক্ষা করে ওষুধ খেতে হবে। যারা comorbidities, তাঁদের নিয়মিত ওষুধগুলিই খেয়ে যেতে হবে। তবে নিজের থেকে কোনও অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড ও অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে বিপদ বাড়বে।