বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় এবং নিম্নচাপের জের জেরবার বাংলা। আর এই ঘূর্ণিঝড় এবং নিম্নচাপের কারণে অন্যান্য বছরের থেকে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হয়েছে বাংলায়। এবার তো শীতের মরশুম শুরু হলেও, কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ঘূর্ণিঝড় এবং নিম্নচাপ।
শনিবার সকালে অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন। দিল্লি হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার সৃষ্টি হয়েছে থাইল্যান্ডের দক্ষিণ অংশে। সেই নিম্নচাপ পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় সরে আসতে পারে আন্দামান সাগরে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে এক সতর্কবার্তার জানানো হয়েছে, আন্দামান উপকূল থেকে নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম ও পশ্চিমউত্তরে সরে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপের আকার নিতে পারে ২ ডিসেম্বর। তারপর সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। আগামী ৪ ডিসেম্বর ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে ওই দুই রাজ্যে। মঙ্গলবার হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে পশ্চিমবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরে। সপ্তাহ শেষে আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও বৃষ্টি হতে পারে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই রাতের দিকে তাপমাত্রার পারদ নাম্লেও, দিনের বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের আমেজ উধাও হয়ে যাচ্ছে। বেলা বাড়লেই বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এমনই আবহাওয়া চলবে এখন কয়েকদিন। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কম থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকেই এই তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। শনিবার রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।