শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বিপ্লব দেবের ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূলের যুব নেতাদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করে ‘কেষ্টদা’ দিলেন এই হুঙ্কার

১২:১৭ পিএম, আগস্ট ১২, ২০২১

বিপ্লব দেবের ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূলের যুব নেতাদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করে ‘কেষ্টদা’ দিলেন এই হুঙ্কার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সবটাই প্রত্যক্ষ করেছেন টিভির পর্দায়। খবরের কাগজ পড়েও জেনেছেন বিশদে। আবার দলের সহকর্মীদের থেকেও প্রতি মুহূর্তে খবর পেয়েছেন। তবে, এবার সরাসরি কলকাতায় এসে দেখে গেলেন, ত্রিপুরায় সংগঠনের কাজে গিয়ে যুব-তৃণমূলের আক্রান্তদের। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়ে গেলেন। তিনি হলেন, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে দলে সকলের প্রিয় কেষ্টদা।

বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এদিন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন সুদীপ-জয়াদের দেখতে। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বললেন, ‘বাংলাতেও গোটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা উড়িয়ে নিয়ে এসেছিল। মোদী-শাহ একাধিকবার এসেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ত্রিপুরাতেও এবার বিজেপি সরবে।’

রাজ্যের বাইরেও এই মুহূর্তে ‘কেষ্টদা’র ব্যাপক চাহিদা। ভিন রাজ্য থেকেও এবার আবেদন আসছে, তাঁদের কেষ্টদাকে পাশে পাওয়ার জন্য। আগামি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই রাজ্যে আসছেন ত্রিপুরার তৃণমূল নেত্রত্ব। উত্তর-পূর্বের এই ছোট রাজ্যে আগামিদিনে কী পরিকল্পনাকে সামনে রেখে এগোবে দল, সে বিষয়ে আলোচনা করতেই তৃণমূল সুপ্রিমো এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ত্রিপুরার তৃণমূলের নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, তাঁরা বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টদা’র সঙ্গেও দেখা করতে আগ্রহী।

এদিকে, অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘আমি দলের একজন কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেবেন সেটাই অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। বিজেপি একটা শয়তান দল। বাংলায় ভোটের আগে তো অনেক নেতা মন্ত্রী এসেছিলেন। তৃণমূল তো কারোর উপর হামলা করেনি। তা হলে কেন ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হল?'

https://www.facebook.com/AnubrataMondalOfficial/posts/1258282784621550

উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধিতায় আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। তবে, রাজনৈতিকভাবে বিজেপির মোকাবিলা কীভাবে বা কোন পথে করবেন, তা নিয়ে মতামত চাইছেন তাঁরা। ত্রিপুরার তৃণমূল নেতাদের দাবি বা আর্জি যাই বলা হোক না কেন, তা হল ত্রিপুরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসুন। তাঁদের দেখলে দলের কর্মী-সমর্থকরা উৎসাহিত এবং উজ্জীবিত হবেন। এর পাশাপাশি তাঁরা ত্রিপুরায় অনুব্রত মণ্ডলকেও চাইছেন। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন ওঠে, অনুব্রত মণ্ডলই কেন?

ত্রিপুরার তৃণমূলের নেতা আশিষলাল সিং এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, ‘কেষ্টদার মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। ওনার গরম-গরম বক্তব্য ভীষণ আকৃষ্ট করে মানুষকে। ওনার একাধিক বক্তব্য ভাইরাল। আমাদের রাজ্যেও ওনার বক্তব্য শুনে শুনে এমন অভ্যাস হয়ে গেছে যে, কেষ্টদা'র ডায়লগ সবাই বলতে শুরু করেন। তাই দিদি ও অভিষেকের পাশাপাশি আমাদের আবদার থাকবে অনুব্রত মণ্ডলকে ত্রিপুরায় মাঝে মাঝে পাঠানো হোক।’

কেষ্টদা'র বিখ্যাত 'চড়াম-চড়াম', কখনও আবার 'গুড়-বাতাসা', কখনও আবার বিরোধীদের যেভাবে তিনি আক্রমণ শানিয়েছেন, তাতে ত্রিপুরা জুড়ে ব্যাপক অনুগামী তৈরি হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে, কলকাতায় এসে মমতা-অভিষেককে আমন্ত্রণের পাশাপাশি তাঁরা আবেদন জানিয়ে যাবেন, অনুব্রত মণ্ডলকে ত্রিপুরায় নিয়ে যাওয়ার জন্যে আগ্রহী। ত্রিপুরার ৮ জেলা থেকে প্রায় ২০ জনের প্রতিনিধি দল আসবে কলকাতায়। তাঁরা জেলাওয়ারি রাজনৈতিক অবস্থান জানাবে মমতা এবং অভিষেককে। জানা গিয়েছে, ছাত্র-যুব-মহিলা-সংখ্যালঘু-তফশিলী-সহ সব বিভাগের প্রতিনিধিরাই দেখা করতে চান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।