শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘আলফাল কথার জন্য দলটার এই অবস্থা’, কবিগুরুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষ অনুব্রতর

১০:৩৭ পিএম, আগস্ট ১৮, ২০২১

‘আলফাল কথার জন্য দলটার এই অবস্থা’, কবিগুরুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কটাক্ষ অনুব্রতর

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের রবীন্দ্রনাথের করা মন্তব্য প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। সঙ্গে তীব্র আক্রমণ করলেন সুভাষ সরকারকে। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘এইসব আলফাল কথাবার্তার জন্যই দলটার এই অবস্থা।’

বুধবার বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চরমে ওঠে। তিনি বলেছিলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ কালো ছিলেন বলে, তাঁর মা এবং পরিবারের অনেকেই তাঁকে কোলে নিতেন না।’

এবার সুভাষ সরকারের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল পাল্টা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না, তাই কুৎসা করছেন। রবীন্দ্রনাথ কালো ছিল বলে কোলে নেওয়া হত কি হত না, তা কি উনি দেখতে গিয়েছিলেন? তাহলে ওঁর রবীন্দ্রনাথের আগে জন্ম হয়েছিল। নাকি সুভাষ সরকারের দাদু দেখতে গিয়েছিলেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কালো ছিলেন বলে কোলে নেওয়া হত না! যতসব ভুলভাল কথাবার্তা! এই জন্যই দলটার এই অবস্থা।’

এখানেই থেমে যাননি অনুব্রত মণ্ডল। বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে এদিন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী আসতেই পারেন। কিন্তু সেন্ট্রাল হলে কীভাবে বিজেপির জেলা সভাপতি উপস্থিত থাকলেন? বিশ্বভারতীর উপাচার্য একজন পাগল। এবার আমিও ক্যাম্পাসের ভিতরে মিটিং করব। বিশ্বভারতীয় ভিতরে তৃণমূল মিটিং করবে, পারলে আটকে দেখান।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিজেপির ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ উপলক্ষে বীরভূমে উপস্থিত হন বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। পূর্ব বর্ধমান থেকে বীরভূম জেলায় ঢোকার মুখে, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেন বলেও সূত্রের খবর। এদিকে শহিদ সম্মান যাত্রায় আসা বিজেপি নেতৃত্বকে বিশ্বভারতীতে কেন স্বাগত জানানো হল কেন? এই প্রশ্নেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচির জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনকে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হল? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। আর এবার বীরভূমের জেলা সভাপতিও এই বিষয়ে সরব হলেন।