শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

শিশুদিবসে দিনেই ঝাড়গ্রামের জঙ্গল থেকে উদ্ধার শিশুর হাত ও মাথা কাটা দেহ! নেপথ্যে কি তান্ত্রিক যোগ?

১০:৫৭ এএম, নভেম্বর ১৫, ২০২১

শিশুদিবসে দিনেই ঝাড়গ্রামের জঙ্গল থেকে উদ্ধার শিশুর হাত ও মাথা কাটা দেহ! নেপথ্যে কি তান্ত্রিক যোগ?

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সারা দেশ যখন ১৪ নভেম্বর শিশুদিবস পালন করছিল, তখন এক খুদে পড়ুয়ার মাথা ও হাত কাটা পচাগলা দেহ উদ্ধার হল ঝাড়গ্রামে। রবিবার দেহতি উদ্ধার করে জামবনি থানার পুলিশ।

রবিবার ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের চিল্কিগড় থেকে গধনি যাওয়ার রাস্তায় খাটগেড়িয়ার জঙ্গলে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা। সেই সময়ই তাঁরা দেখতে পান কয়েকটি কুকুর একটি জিনিস নিয়ে টানাটানি করছে। প্রথমে তাঁরা বিষয়টি সেভাবে বুঝতে পারেননি। তবে দুর্গন্ধও পান তাঁরা। এরপরই বুঝতে পারেন বছর পাঁচ-ছ’য়ের এক শিশুপুত্রের দেহ নিয়ে টানাটানি করছে ওই সারমেয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির দেহ থেকে মাথা থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। কাটা ছিল শিশুটির দুটি হাতও। দেহ থেকে কিছুটা দূরেই পড়েছিল কাটা মাথা এবং হাত। মৃত শিশুটির দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে শিশু শ্রেণির বই, খাতা, জলের বোতল, বইয়ের ব্যাগ, একজোড়া জুতো, চটি, বেশ কিছি জামা-কাপড় ও শাড়ি পাওয়া গিয়েছে। ওই স্থানেই পড়েছিল সাইকেলের ঝুড়ি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এখনও শিশুটির নাম বা পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে, পুলিশ আধিকারিকরা আশাবাদী তাঁরা শীঘ্রই শিশুটির পরিচয় সম্পর্কে সবটা জানতে পারবেন।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই শিশু পড়ুয়াকে খুন করে অন্য কোথাও থেকে নিয়ে এসে জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই মৃত্যুর সঙ্গে তান্ত্রিক যোগ থাকতে পারে। কিংবা কোনও অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্তের খাতিরে সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আশপাশের এলাকায় কোনও শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেল পর্যন্ত জামবনি থানায় কোনও শিশু নিখোঁজের অভিযোগ হয়নি। সেই কারণেই পুলিশ মনে করছে বাইরে থেকে খুন করে শিশুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে জঙ্গলে। এ বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘শিশুটির নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। খুনের মামলা রুজু করা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, খুন করে বাইরে থেকে এনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’