শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘৯ ঘন্টা ইডি জেরা করলে তখন অনেকেই আবল তাবোল বকে’, অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

১০:২৩ এএম, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২১

‘৯ ঘন্টা ইডি জেরা করলে তখন অনেকেই আবল তাবোল বকে’, অভিষেককে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দিল্লিতে জামনগরের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সদর দফতরে সোমবার নির্ধারিত সময়ে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সকাল ঠিক ১১ টায় দিল্লির জামনগর এলাকায় ইডি’র দফতরে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র।

কয়লা কেলেঙ্কারি তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সংক্রিয়তা বাড়ানোর পর, এনিয়ে দ্বিতীয়বার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং তাঁর স্ত্রীকে তলব করল ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ৬ সেপ্টেম্বর ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাজির দেওয়ার দিন। সেই অনুযায়ী, সোমবার ইডি’র সদর দফতরে হাজিরা দেন অভিষেক। তদন্তে সহযোগিতা করতে আগের দিনই অর্থাৎ রবিবারই তিনি দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন। সোমবার ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা শেষে, ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে ঘরে বসানো যাবে না। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কলকাতার কেসকে দিল্লি টেনে এনেছে।’ এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন যে, ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক যোগদান করতে চাইছেন। তৃণমূল নিচ্ছে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি প্রসঙ্গে এবার তাঁকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ কটাক্ষের সুরে বলেন যে, ‘৯ ঘণ্টা ইডি জেরা করলে তখন অনেকেই আবল তাবোল বকে। তৃণমূলের অনেক নেতারাই কয়লা, বালি লুট, পাচারের সঙ্গে যুক্ত। ওনাদের রাজত্বকালে কয়লা, বালি, পাথর, লুট হয়েছে গরু পাচার হয়েছে। একটা দল অফিসিয়ালি এই কাজগুলো করছে, তাদের সব নেতা জড়িত। পুলিশ অভিযোগ নেয়নি। এখন সিআইএসএফ দেখানো হচ্ছে।’

এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৫ জন বিজেপি বিধায়কের প্রসঙ্গের অবতারণা করে বলেন যে, ‘জানি না পঁচিশ না পঞ্চাশ। আমাদের পার্টিতে অনেক নেতা এসে বলেছিলেন একশো আছে দেড়শো আছে। আগে তো ওনাদের বিধায়ক সাংসদরা ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচুক, তারপর আমাদের বিধায়ক সম্পর্কে ভাববেন।’

সোমবার ইডি’র জেরা শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যদি কোথাও আমাকে অভিযুক্ত হিসেবে প্রমাণ করা যায়, তাহলে আবারও দায়িত্ব নিয়ে বলছি, রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। আমাকে এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। কোনও ইডি, সিবিআই দরকার নেই। কেউ বলছে ১০০ কোটির স্ক্যাম, কেউ বলছে ১০০০ কোটি। আমি বলছি যদি ১০ পয়সারও দুর্নীতি থাকে প্রমাণ করে দেখান। আমি বলছি আমার পিছনে ইডি সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। সোজা ফাঁসির মঞ্চ গড়ে দিন। আমি মৃত্যুবরণ করব।’ তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘যা করার করে নিন। বিজেপি অনেক শক্তিশালী হতে পারে, লিখে রাখুন আগামী নির্বাচনে বিজেপিকে হারাবে তৃণমূল। ২০২৪ সালে হারাব। জীবন দিয়ে দেব। কিন্তু মাথানত করব না। রাজনৈতিকভাবে লড়াই করার হিম্মত নেই এদের।’

এদিন অভিষেকের সেই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘জীবন কোথায় দিচ্ছেন। জীবন নিয়ে তো পালিয়ে গেল নেতারা। এতদিন এই অভিযোগ করতে করতে আদালতও শুনেছে। তারা কোনও না কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাই তাদের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। গায়েব হয়ে যাচ্ছে। অন্য দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে নিচ্ছেন, কতটা সৎ ছিল ওরা বোঝাই যাচ্ছে।’