বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

"সারা জীবন কি যুব মোর্চাই করব?", সৌমিত্র খাঁ'র মন্তব্য ঘিরে ফের শুরু জল্পনা

০৯:৪৫ পিএম, জুলাই ১১, ২০২১

ফের সৌমিত্র খাঁ'র মন্তব্য ঘিরে জল্পনা শুরু রাজনৈতিক মহলে। রবিবার বিষ্ণুপুর শহরের একটি বেসরকারী লজে দলের সাংগঠনিক সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্রর জবাব, "বয়স পেরিয়ে গেলে যুব মোর্চার পদ ছেড়ে দিতে হয়। এটা নতুন কোনও কিছু নয়। আমি কি সারা জীবন যুব মোর্চাই করে যাব?" তা নিয়ে ফের নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বারবার নানা মন্তব্য করে এর আগেও বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সৌমিত্র। গত বুধবার দুপুরেই বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন সৌমিত্র খাঁ। ইস্তফাপত্র দেওয়ার পরই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপও দাগেন। সন্ধ্যায় ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সৌমিত্র জানান, তিনি ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এরপরও বৃহস্পতিবারই বিজেপির ডাকা বৈঠকে গরহাজির থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যা ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছিল।

ওই প্রসঙ্গে শুভেন্দু কোনও মন্তব্য না করলেও দিলীপ ঘোষ বলেন, "উনি যুব নেতা। অবার্চীনের মতো কাজ করে চলেছেন উনি৷ একবার ইস্তফা দিচ্ছেন, একবার তুলছেন। রাজনীতিতে জোকারদের নিয়ে আলোচনা হয়। যুব নেতা তো, এমন ভুল করলে চলে না। বারবার একই ভুল মেনেও নেওয়া হবে না। দলে ব্যবস্থা আছে।" তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু-দিলীপ-সৌমিত্র মন্তব্য বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষ্ণুপুরের সাংসদের দাবী, "কোনও রাগ অভিমান নেই। তবে রাজনীতিতে রাগ-অভিমান যেমন চলে, তেমন রাজনীতি-কূটনীতিও চলে।"

একইসঙ্গে ভোট প্রসঙ্গেও সৌমিত্রর মন্তব্য, "বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুরে ৫-১ করেছি। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও তৃণমূলকে ‘শূন্য’ করতে চাই।" তবে যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে যে আর মন টিকছে না সৌমিত্রর, তা সাম্প্রতিক কয়েকটি মন্তব্য থেকেই বেশ বোঝা যাচ্ছে। তবে কি মন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে এমন সব মন্তব্য করছেন তিনি? তা নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা।