মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

‘বাকিরা ডায়লগ দেয়, আমি গোল দিই’! খেলা হবে দিবসে ফুটবলে মজলেন দিলীপ ঘোষ

১২:০৮ পিএম, আগস্ট ১৬, ২০২১

‘বাকিরা ডায়লগ দেয়, আমি গোল দিই’! খেলা হবে দিবসে ফুটবলে মজলেন দিলীপ ঘোষ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে, ১৬ আগস্টকে ‘খেলা হবে’ দিবস হিসেবে পালন করার কথাও ঘোষণা করেন তৃতীয়বারের জয়ী বাংলার শাসকদলের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শুধু বাংলাতেই নয়, ত্রিপুরাতেও পালিত হচ্ছে এই দিবস। এরই মধ্যেই এদিন ইকো পার্কে একেবারে ভিন্ন মেজাজে দেখা গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।

প্রতিদিনের মত আজও নিউটাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ করে বেরিয়ে ইকো পার্কের পার্কিং লটে, তিনি মেতে উঠলেন ফুটবল খেলায়। আজ তৃণমূলের খেলা হবে দিবসে বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই ফুটবল খেলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, বলছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রায় প্রতিদিনই সকালে ইকো পার্কে শরীরচর্চা করেন দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি খেলার ফাঁকে নিজের শৈশব নিয়ে বেশ নস্টালজিক হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলেছি। কখনও কাদার উপর বাতাবি লেবু আবার কখনও প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে বল খেলতাম।’

ফুটবল নিয়ে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে গেলেও, তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ‘খেলা হবে’ দিবস উপলক্ষে এদিন তিনি বলেন যে, ‘বাকিরা ডায়লগ দেয়। আমি গোল দিই’। এদিন তিনি আরও বলেন যে, ‘ওরা খেলাকে রাজনীতি ও হিংসার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। সিন্ডিকেট, কাটমানির খেলায় নিয়ে গিয়েছে। আমরা চাই ফুটবল খেলা হোক। নতুন প্রজন্ম শরীরচর্চা করুক। বাংলার সম্মান আরও বাড়ুক। ফুটবল খেলছি। গতকাল ক্রিকেটও খেলেছি। কিছু না কিছু রোজ করি।’

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবসে বিকেলে রাজভবনে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির কথাও হয়। দিলীপ ঘোষের শরীরচর্চা করার অভ্যাসের প্রশাংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, নবান্নে চায়ের আসরে যোগ দেওয়ার নিমন্ত্রণও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গেও এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি মুখ খোলেন।

দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন তাঁর অরাজনৈতিক একাধিক বিষয়ে কথা হয়েছে। তিনি তাঁকে নবান্নে চা চক্রে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নেহাতই তা সৌজন্য বিনিময়। তিনি বলেন, ‘কুশল বিনিময় হয়েছে। শরীরচর্চার বিষয়ে কথা হয়েছে। কী খাই, কতক্ষণ হাঁটি এসব কথা হয়েছে। উনি বলেছেন একদিন নবান্নে আসতে। আমি বলেছি যাব।’