শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

‘বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না’! বিধানসভায় বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট ক্ষুব্ধ বিজেপির

০৩:০৫ পিএম, জুলাই ৮, ২০২১

‘বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না’! বিধানসভায় বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট ক্ষুব্ধ বিজেপির

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভোট পরবর্তী হিংসা এবং রাজ্যে সাম্প্রতিকের ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই দুই বিষয়কে কেন্দ্র করেই আলোচনা চেয়ে, বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই দুই প্রস্তাবই খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার প্রতিবাদেই এবার বিএ কমিটির বৈঠক বাতিল করল বিজেপি। বিধাসভার কর্মসূচি ঠিক করার জন্যই এই বৈঠক হবে। কিন্তু, এই বৈঠকে কোনও বিজেপির বিধায়ক উপস্থিত থাকবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেছে তৃণমূল সরকার, কথা বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

এদিন বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। শহরে ভুয়ো ভ্যাকসিন নিয়ে এই প্রস্তাব আনেন বিজেপির বিধায়করা। কিন্তু অধ্যক্ষ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। আবার এর আগে ভোট পরবর্তী হিংসার প্রস্তাবও খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এরপরই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বিএ কমিটির বৈঠক বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে আজ দুপুরেই রয়েছে সেই উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। বিধানসভার আগামী দিনের কর্মসূচি ঠিক করার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তাই বিজেপি বিধায়কদের বক্তব্য, তাঁদের কথা বলারই যখন কোনও অধিকার নেই, তখন এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কোনও মানে হয় না।

আবার অন্যদিকে, এদিন সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। শুধু তাই নয়, রাজ্য বাজেট নিয়েও তিনি একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য বাজেটে একাধিক বিভ্রান্তি রয়েছে। তিনি অভিযোগ তুলেছেন যে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতি হচ্ছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা কারা পেয়েছেন, সেই তালিকা প্রকাশ করার কথাও তিনি বলেছেন। তাঁর কথায়, ‘মানুষ শুধুমাত্র ত্রাণ চান না। চান পরিত্রাণ।’

উল্লেখ্য, আজকের বিধানসভায় বাজেট নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিজেপি বিধায়িকা শ্রীমতি শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘শিল্পের বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে নিশ্চয়তার অভাব রয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যে নিয়োগের অভাব রয়েছে।’ তিনি আরও দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গ দৈনিক মজুরি আইন অনুযায়ী, একজন অদক্ষ শ্রমিকের থেকে কম মজুরি পান রাজ্যের আইসিডিএস, আশাকর্মী এবং প্যারা টিচাররা।