শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

'হারুক, জিতুক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপি'! চাঞ্চল্যকর দাবি প্রশান্ত কিশোরের

০৫:৫১ পিএম, অক্টোবর ২৮, ২০২১

'হারুক, জিতুক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপি'! চাঞ্চল্যকর দাবি প্রশান্ত কিশোরের

২০২২-এর শুরুতেই উপকূল রাজ্য গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন। তাই নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য গোয়াকে পাখির চোখ করেছে তৃণমূল। আজ, বৃহস্পতিবারই প্রচারের জন্য গোয়া সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এসবের মাঝেই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী তথা রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।

বৃহস্পতিবারই এক অনুষ্ঠানে প্রশান্ত কিশোরের দাবি, "হারুক বা জিতুক, ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে থাকবে বিজেপিই। তাঁরা যদি সর্বভারতীয় স্তরে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়ে থাকেন তবে বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা কেউ মুছে ফেলরে পারবে না। সাধারণ মানুষ মোদির প্রতি ক্ষুদ্ধ, তাই তারা মোদিকে ক্ষমতা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে ভাবলে এই ফাঁদে দয়া করে পা দেবেন না। মডি যদি পরাজিতও হন, তাহলেও বিজেপির প্রাসঙ্গিকতা আগামী কয়েক দশক অটুট থাকবে।"

এরই পাশাপাশি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি আক্রমণ শানিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, "রাহুল গান্ধী বলেছিলেন জনতা খুব তাড়াতাড়ি মোদিকে ছুঁড়ে ফেলে দেবেন। এই বিশ্লেষণ সঠিক নয়। যতক্ষণ না আপনি ওঁর ক্ষমতা বুঝতে পারবেন এবং তা প্রতিরোধ করতে পারবেন, ততক্ষণ আপনি ওঁকে হারাতে পারবেন না।" ব্যক্তিগতভাবে বিজেপি বিরোধীর পিকের এদিনের মন্তব্যে রাজনীতি নিয়ে তাঁর পেশাদারিত্বেরই প্রতিফলন ঘটেছে মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া যাত্রার দিনেই পিকে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনাও।

উল্লেখ্য, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতার ভূমিকায় রয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে তৃতীয়বারের জন্য জেতানোর পিছনেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে গোয়াতে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে সেখানেই রয়েছেন তিনি৷ এরই মাঝে তাঁর মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছে৷ অবশ্য পিকের এদিনের মন্তব্য নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্যের দাবি, “প্রশান্ত কিশোর কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি পেশাদার। তিনি না বললেও বাস্তবে সকলেরই জানেন ভারতীয় রাজনীতি আগামী পাঁচ দশক বিজেপির দ্বারাই পরিচালিত হবে। রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে বিজেপিই থাকবে। বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়া সম্ভব নয়।"