বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

ফের গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! দিলীপ-সুকান্তর সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন কর্মীরা

০৬:৫৩ পিএম, অক্টোবর ২২, ২০২১

ফের গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! দিলীপ-সুকান্তর সামনেই হাতাহাতিতে জড়ালেন কর্মীরা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের প্রকাশ্যে এল পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির অন্তর্কলহ। বিজেপির নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির নয়া সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সামনেই চলল দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ভাঙচুর। এমনকি নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন কর্মীরা। সভা শুরুর আগেই ভাঙচুর চালানো হয়। শুক্রবার সকালে এমনই ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দাইহাটে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার পূ্র্ব বর্ধমানের দাঁইহাটের বাগতিকর এলাকায় বিজেপির বর্ধমান পূর্ব (গ্রামীণ) জেলা কার্যালয় অফিসে বিশেষ সাংগঠনিক সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষের। আলোচনা সভার পর বিকেলে নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতিকে সম্বর্ধনা দেওয়ারও কথা ছিল। তবে, সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষ সেখানে পৌঁছনোর আগেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়।

দলীয় কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল-সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করলেন দলেরই একাংশের কর্মীরা। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের অভিযোগ, জেলা সভাপতির দায়িত্বে থাকা কৃষ্ণ ঘোষের নেতৃত্বেই কাটোয়ায় বিজেপি হেরেছে। কৃষ্ণ ঘোষ টাকার বিনিময়ে বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূলকে কাটোয়ায় জিতিয়েছে। দলীয় কর্মীদের এই অভিযোগের মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন দিলীপ ঘোষ এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁদের দেখা মাত্রই ‘গো-ব্যাক’ শ্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।

সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির নাম করে গো-ব্যাক দিলীপ ঘোষ শ্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা। এরপরই গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ দিয়ে বের করে দেব। লাঠিচার্জ করাব পুলিশকে দিয়ে।’ এরপর অবশ্য দলীয় কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মীরাই ওই বিক্ষুব্ধ কর্মীদের সরিয়ে দেন। অন্যান্য কর্মীরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় শেষে আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।

এই ঘটনায় ফের একবার বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহব নেই। এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব আজ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের সামনের সারিতে বসিয়ে বিজেপি পুরোনো দিনের নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব না দেওয়ার ফল হল বিজেপি পার্টি অফিসে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর।’ অন্যদিকে, একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলীয় কর্মীদের উপর লাঠিচার্জের হুমকি দিয়ে দিলীপ ঘোষের মতো কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতার আসল চরিত্র বেরিয়ে এল। দলীয় উচ্চ নেতৃত্বের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির জন্য বিজেপি কর্মীরা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’