শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সাড়ে তিন ঘণ্টাতেই বাঁকুড়া থেকে হাওড়া! বাঁকুড়াবাসীদের সুবিধার্থে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২২, ০২:৪৩ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২২, ১০:৩৬ পিএম

সাড়ে তিন ঘণ্টাতেই বাঁকুড়া থেকে হাওড়া! বাঁকুড়াবাসীদের সুবিধার্থে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন
সাড়ে তিন ঘণ্টাতেই বাঁকুড়া থেকে হাওড়া! বাঁকুড়াবাসীদের সুবিধার্থে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন / প্রতীকী ছবি

দেশের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের কাছে সফরের অন্যতম ভরসা ভারতীয় রেলপথ। প্রতিনিয়ত দেশের অধিকাংশ মানুষ রেলের মাধ্যমে যাতায়াত বেছে নেন। বিশেষ করে দূরে হোক বা কাছে, স্বল্প খরচে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও জনসাধারণের প্রথম পছন্দ রেল যাত্রাই। আর এই রেল পরিষেবাকে উন্নত করে তোলার জন্য বছরের পর বছর নানা পরিকল্পনা নিয়ে চলেছে রেল মন্ত্রক।

রেলপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমানে ২০ হাজারেরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে প্রতিদিন বহু মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করেন৷ তবে অনেক ক্ষেত্রেই কোনও ট্রেন এক স্থান সোজাপথে গন্তব্যে না গিয়ে ঘুরপথে চলাচল করে। ফলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সময়ও বেশি লাগে। ফলে তা সাধারণ মানুষের জন্য সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে বাঁকুড়াবাসীদের জন্য ট্রেনে করে হাওড়া পৌঁছাতেই অনেকটা সময় লেগে যায়। ফলে অনেকেই ট্রেনে যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকেন।

এই পরিস্থিতিতে এবার বাঁকুড়ার বাসিন্দাদের সুখবর দিল রেল। খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া যাওয়ার এক নতুন ট্রেন। যে ট্রেন ঘুরপথে নয় বরং সরাসরি পৌঁছাবে হাওড়ায়। এতে অনেকটাই সময় সাশ্রয় হবে। যাতায়াতও হবে স্বাচ্ছন্দ্যে। ফলে এই ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালু হলে সুবিধা হবে বাঁকুড়ার যাত্রীদের।

বাঁকুড়া থেকে হাওড়া নতুন যে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসটি চালু হতে চলেছে তা এবার খড়গপুর হয়ে ঘুরে নয় বরং বাঁকুড়া-মশাগ্রাম হয়ে সরাসরি পৌঁছে যাবে হাওড়ায়। আগে ঘুরপথে গেলে যেখানে প্রায় ৪ ঘণ্টা সময় লেগে যেত, এবার এই ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালু হলে বাঁকুড়া থেকে মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টাতেই পৌঁছনো যাবে হাওড়ায়। অর্থাৎ প্রায় ১ ঘণ্টা সময় সাশ্রয় হবে যাত্রীদের।  

চলতি বছরেই এই নতুন ট্রেনটি চালু হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই ট্রেন চালু হলে দক্ষিণ দামোদর তথা বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনের বিপুল উপকার হবে। কারণ বর্তমানে পাত্রসায়র, সোনামুখী ও ইন্দাসের মানু্ষজনকে হাওড়া আসতে গেলে বাঁকুড়া নয়তো দূর্গাপুর এসে ট্রেন ধরতে হয়। তবে এই শর্টকাট রুট চালু হলে বিশেষ উপকৃত হবেন সেই অঞ্চলের মানুষেরা। 

প্রসঙ্গত, এই নতুন ট্রেনের পরিষেবা চালু করার জন্য পূর্ব রেলের জিএম অরুণ অরোরার কাছে আগেই আবেদন জানান প্রাক্তন সাংসদ ও এক সময়ের রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচার্য। পরে তিনি জানিয়েছিলেন, পূর্ব রেলের জিএম একটি চিঠি দিয়ে এই ট্রেন চালানোর বিষয়ে তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর আশ্বাস অনুযায়ীই দ্রুত শুরু হতে চলেছে কাজ।