সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

SBI ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা জানেন কি চলতি মাসের এই দু’দিন ব্যাঙ্ক বা এটিএম-এ গেলে পড়তে পারেন বিপাকে?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২২, ০৪:২৭ পিএম | আপডেট: মার্চ ২৭, ২০২২, ১০:২৭ পিএম

SBI ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা জানেন কি চলতি মাসের এই দু’দিন ব্যাঙ্ক বা এটিএম-এ গেলে পড়তে পারেন বিপাকে?
SBI ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা জানেন কি চলতি মাসের এই দু’দিন ব্যাঙ্ক বা এটিএম-এ গেলে পড়তে পারেন বিপাকে? / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি মাসের ২৮ এবং ২৯ তারিখ অর্থাৎ সোম এবং মঙ্গলবার দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। স্বাভাবিকভাবেই এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে চলেছে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রেও। তাই আপনি যদি এসবিআই ব্যাঙ্কের গ্রাহক হন এবং এবং জরুরি কোনও কাজ সপ্তাহের শুরুতেই করবেন বলে ভেবে থাকেন, তাহলে এই প্রতিবেদন অবশ্যই পড়তেই হবে।

ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ এবং ব্যাঙ্কিং আইন সংশোধনী বিল ২০২১-এর প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যাঙ্কের শ্রমিক সংগঠনগুলি। চলতি মাসের ২৭ এবং ২৮ মার্চ এসবিআই, পিএনবি-র মতো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯ লক্ষ কর্মী ধর্মঘটে যোগ দিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ধর্মঘটে সামিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন, ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া এবং অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। এ ব্যাপারে এসবিআই কর্তৃপক্ষকে তাঁরা জানিয়েওছে। 

এদিকে, এসবিআই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, ‘ধর্মঘটের দিন পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সবরকম ব্যবস্থাই করবে ব্যাঙ্ক। কিন্তু এর জেরে কাজের সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এও আশঙ্কা করছে যে, এই ধর্মঘটের জেরে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্ভবনা রয়েছে। কাজেই সোম এবং মঙ্গল সপ্তাহের শুরুর এই দু’দিন ব্যাঙ্কের শাখায় কোনও পরিষেবা নাও পেতে পারেন সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, এটিএম থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেমনটা হলে, প্রয়োজনে আজ, রবিবার এটিএম থেকে টাকা তুলে নিতে পারেন। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিক, কৃষক এবং জনবিরোধী নীতি প্রণয়নের অভিযোগ তুলে, উক্ত দু’দিনের ভারত বনধের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি। 

এদিকে, শনিবার নবান্নের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, সাধারণ ধর্মঘটের দু’দিন অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। অনুপস্থিত থাকলে, শো-কজ নোটিস দেওয়া হবে। শুধু নোটিস পাঠানোই নয়, জবাব না দিলে, শৃঙ্খলাভঙ্গের নিয়মে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। অনুপস্থিতির সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে, মাইনেও কেটে নেওয়া হবে।