শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘আপনার ভোট না পেলে, মনে রাখবেন আমাকে আপনারা পাবেন না’! প্রচারে বার্তা মমতার

০৬:৪৭ পিএম, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১

‘আপনার ভোট না পেলে, মনে রাখবেন আমাকে আপনারা পাবেন না’! প্রচারে বার্তা মমতার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই নির্দিষ্ট দিনে (৩০ সেপ্টেম্বর) ভবানীপুর কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জোরকদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার।

এদিন প্রচারে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, এই উপনির্বাচনে জিততে না পারলে, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাওয়া যাবে না। এদিন খিদিরপুরে নির্বাচনী সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার ডাক দিলেন তিনি। বললেন, ‘আপনাদের একটা ভোট দিল্লির দিকে এগিয়ে দেবে আমাদের।’ আজকের মমতার নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম-সহ তৃণমূলের একাধিক দাপুটে নেতা-নেত্রী।

এদিনের সভার শুরু থেকেই একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রের বিজেপির সমাচলনায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন যে, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতারা গেলেই মারধর করা হচ্ছে। কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তৃণমূল যাচ্ছে জানতে পারলেই ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে।’ এরপরই রীতিমতো হুঙ্কার দিয়ে মমতা বলেন যে, ‘তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে।’ বিজেপিকে দেশ ছাড়া করার ডাক দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শুধু ত্রিপুরাই নয়, যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেও নির্বাচনী লড়াই করার ইঙ্গিত দেন তিনি।

এদিকে, এদিন নির্বাচনী সভা থেকে, একুশের নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হারের জন্য ফের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামে লড়াই করতে গিয়েছিলাম। আদালতে মামলা চলছে। কীভাবে হারানো হয়েছে তা আপনারা জানেন। ওরা কি না করেছে!’ তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি। ভবানীপুরে ভাগ্যই তাঁকে ফিরিয়ে এনেছে। একইসঙ্গে খিদিরপুরের সঙ্গে নিজের নির্বাচনী রাজনীতির যোগের কথাও তুলে ধরেন। নেত্রীর কথায়, ‘সাত দফায় সাংসদ হয়েছি। প্রতিবার খিদিরপুর সঙ্গে ছিল। ২০১১ সালে উপনির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন। ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০১৬ সালেও এখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলাম। এটা ভাগ্যের খেলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবেন। আল্লাহ মেহেরবান, মা দুর্গা, কালী ঠাকুরের ইচ্ছা এটা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’

খিদিরপুরের সভায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের স্মরণ করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে একশোয় একশো ভোটারকে ভোটদান করতে হবে। নেত্রীর কথায়, ‘মাস্ক পরে ভোট দিতে যাবেন। আর একটা কথা, বৃষ্টি হল ভাবলেন দিদি তো এমনিতেই জিতে যাবে, যাওয়ার দরকার নেই। দয়া করে এটা করবেন না। আপনার একটা ভোট না পেলে মনে রাখবেন আমাকে আপনারা পাবেন না। সেজন্য একটা ভোটও খুব দরকার।’

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে হারের পর, সাংবিধানিক শর্ত মেনে, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই কথা মনে করিয়ে নেত্রীর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। কিন্তু আমি যদি জিততে না পারি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অন্য কেউ হবে। আমি হতে পারব না। এটা আমি আপনাদের কাছে বলে গেলাম এই জন্যে যে, আপনার ভোটটা কেন প্রয়োজন? ঝড়-বৃষ্টি হলেও একশোয় একশোজনকে ভোট দিতে বেরাতে হবে।’

সভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘এনআরসি, সিএএ, এনপিআর নিয়ে লড়বে কে? নোটবন্দির বিরুদ্ধে লড়বে কে? বিজেপির দাঙ্গার বিরুদ্ধে লড়বে কে? উন্নয়নের জন্য লড়বে কে?’ প্রতিবার একই উত্তর আসে, ‘দিদি।’