শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

আপাতত ইডি-সিবিআইকে বিধানসভায় হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

০৮:২৯ পিএম, অক্টোবর ৭, ২০২১

আপাতত ইডি-সিবিআইকে বিধানসভায় হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য বিধানসভায় অধ্যক্ষের তলবে আপাতত হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই ইডি এবং সিবিআইয়ের প্রতিনিধিদের। আজ এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। তিনি জানিয়েছেন, নারদা কাণ্ডে অধ্যক্ষের তলবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের আর হাজিরা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৮ অক্টোবর, শুক্রবার।

উল্লেখ্য, এর আগে বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ইডি এবং সিবিআইয়ের প্রতিনিধিরা। এর আগে গত সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর বৃহস্পতিবার ৭ অক্টোবর ইডি এবং সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। এর আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হাইকোর্টে মামলা করে বলেছিল যে, ‘অধ্যক্ষ কোনও সিবিআই আধিকারিককে সমন পাঠাতে পারেন না।’

এদিকে, এই বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ যে, সাধারণ বৈঠকে কোনও সমস্যা নেই। তবে, অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সেই নির্দেশের সূত্র ধরেই আজ এই রায় দিয়েছেন বিচারপতি।

উল্লেখ্য, আগেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, বিধানসভার অধ্যক্ষের তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি-র আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। দু'বার এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা আইন অনুযায়ী করেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারাদা মামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিম ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছিল ইডি। বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হল না কেন, সেই বিষয়টি জানার জন্যই বিধানসভার অধ্যক্ষ ইডি এবং সিবিআই-এর আধিকারিকদের বিধানসভায় তলব করেছিলেন।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইমারি মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা PMLA আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে হলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে অধ্যক্ষের অনুমতি নিতে হয় না। সুতরাং বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে অধ্যক্ষের এক্তিয়ার নেই।