মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষকদের সব দাবি না মানলে, আন্দোলন চলবে! হুঁশিয়ারি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার

১০:৩৪ এএম, ডিসেম্বর ৩, ২০২১

কৃষকদের সব দাবি না মানলে, আন্দোলন চলবে! হুঁশিয়ারি সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ চলতি সপ্তাহেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই কেন্দ্রের আনা নয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হয়। রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর এই আইন প্রত্যাহারে আরও কোনও সমস্যা নেই। তাও একাধিক দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন কৃষকরা।

বৃহস্পতিবার, কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, কেন্দ্রের দেওয়া চাপের কারণেই তাঁরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরেও, এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্র সরকার তাঁদের যথাযথ এবং প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শন করে বকেয়া দাবিগুলি পূরণের চেষ্টা করেছে বলেই জানিয়েছে এই কৃষক সংগঠন।

অন্যদিকে, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এও জানিয়েছেন যে, সরকার যদি আন্দোলনের সময়ে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও ফসল বিক্রির ক্ষেত্রে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদান নিয়ে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করে, তবে সেক্ষেত্রে তাঁরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে রাজি। বিবৃতিতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘কৃষকদের সঙ্গে কোনও রকমের কথাবার্তা না বলেই তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে কেন্দ্র। তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা না করলে, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘদিনের একটি লড়াই শেষ হয়েছে। আন্দোলন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে প্রথমবার যুদ্ধে জিতেছে কৃষকরা।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমবার, সংসদে লোকসভা ও রাজ্যসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করে কেন্দ্রের মোদী সরকার। সেখানেই ধ্বনি ভোটে এই আইন পাশ হয়ে যায়। এই বিল নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিরোধীদের বিক্ষোভের মাঝেও মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে এই বিল পাশ করে সরকার। অধিবেশনের শুরুতেই বিরোধী সাংসদরা কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করলে দুপুর ১২ টা অবধি লোকসভা স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরে ফের অধিবেশন শুরু হলে, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন এবং তা ধ্বনি ভোটে পাশ করানো হয়। রাজ্যসভায় খুবই সামান্য আলোচনার পরই পাশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল।

গত বছরের সেপ্টেম্বর সংসদে পাশ হওয়ার পর তিন কৃষি আইন তৈরি হয়েছিল। আর তারপর থেকেই কৃষকদের একটি অংশ এই আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল। আইন পাশের বিরোধিতা করে দীর্ঘ এক বছর ধরে দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষকদের একাংশ। তবে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিক্ষোভরত কৃষকদের এই আইনগুলির সুবিধার কথা বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। দফায় দফায় বৈঠক হলেও, কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরই মধ্যে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে একেবারে অপ্রত্যাশিতভাবে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।