তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর রাজ্যের করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণের পর নবান্নে ফিরে রাজ্যের কোভিড সংক্রান্ত আলোচনায় বৈঠকে বসেন তিনি৷ তখনই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভ্যাকসিনের জোগান এবং শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন তিনি।
এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যে প্রতিদিন ২ লক্ষ ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে। দ্বিতীয় ডোজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।" তিনি এও জানান, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন ১০ হাজার ডোজ রেমডিসিভির লাগবে। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে তাই আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, এর আগে রাজ্যে প্রতিদিন ২২০ মেট্রিক টন অক্সিজেন লাগত। এখন প্রতিদিন ৪০০ মেট্রিক টন লাগছে। আরও সাত দিনের মধ্যে দৈনিক ৫০০ মেট্রিক টন লাগবে। এদিকে বাংলার অক্সিজেন চলে যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশ বা অন্যান্য রাজ্যে। কিন্তু বাংলার অক্সিজেন এই রাজ্যেই থাকা উচিত। তাই বাংলায় যত পরিমাণ অক্সিজেন দরকার, তা যেন বাংলায় উৎপাদিত অক্সিজেনের থেকে আগে দেওয়া হয়! এ ব্যাপারেও আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[caption id="attachment_13387" align="alignnone" width="1070"] বিনামূল্যে দিতে হবে ভ্যাকসিন! দিতে হবে করোনার ওষুধ, অক্সিজেন! মোদিকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের[/caption]মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে এও জানান, রাজ্যে ভ্যাকসিনের পরিমাণ স্বল্প। তা দিয়ে ১৮ ঊর্ধ্বে ব্যক্তিদের টিকাকরণ এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন চেয়েও আবেদন জানান তিনি। সেই সঙ্গে ১ হাজার টসিলিজুমাব লাগবে বলেও জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, আইসিসিঅইউ-র বেডের সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে ২৭ হাজার আছে বেড রয়েছে। যা বেড়ে ৩০ হাজার হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, আজই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যে এসেছে ১ লক্ষ কোভ্যাকসিন। আসছে আরও ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড। এদিকে, রাজ্য সরকারও কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড এই দু’ রকম ভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছে। তবে তা এখনও এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আপাতত দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনেশনকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ অবধি দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণই চলছে রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র জুড়ে।