বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উদ্ধার মহামূল্যবান পাথর, তাও খোদ কলকাতার বুক থেকে! কলকাতা বিমানবন্দর চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি ক্যালিফোর্নিয়াম স্টোন। এই পরমাণু-খনিজের আনুমানিক মূল্য ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এই পাথর উদ্ধার করেছে সিআইডি। এই ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই পাথর পরমাণু বোমা তৈরিতে কাজে লাগে। কাজেই, স্বাভাবিকভাবেই এই পাথর উদ্ধারের পর ঘুম উড়েছে সিআইডি’র।
বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরে দু'জনের কাছ থেকে ওই পাথর উদ্ধার হয়। সূত্রের খবর, ওই মূল্যবান পাথর ক্যালিফোর্নিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে, আগে থেকেই সিআইডি’র গোয়েন্দাদের কাছে এর খবর ছিল। ধৃত দুই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি পাথরের মোট ওজন ২৫০.৫ গ্রাম। এই পাথরের এক গ্রামের দাম ১৭ কোটি টাকা। যে পরিমাণ উদ্ধার হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ হাজার ২৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি’র আধিকারিকরা বিমানবন্দরে কড়া প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। খবর ছিল, বিশাল মূল্যের কোনও পাথর পাচার হবে। এই খবরের ভিত্তি করেই আটক করা হয় হুগলির ২ বাসিন্দাকে। এদের এক জনের নাম শৈলেন কর্মকার। বাড়ি সিঙ্গুরে। অন্যজনের বাড়ি পোলবায়, নাম অসিত ঘোষ। কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে বৃহস্পতিবার সকালেই গ্রেফতার করা হয় দুই যুবককে। পরে দুপুরে তাঁদের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। পাথর দুটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে গবেষণা কেন্দ্রে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে, ধৃত দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ক্যালিফোর্নিয়ামের কথা জানতে পারেন তাঁরা। এরপরই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষণাগারে ওই ধাতু আবিষ্কার হয়। সিআইডির দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাথরগুলি ছাই রঙের। সেগুলি অন্ধকারেও ঝলমল করছে। ক্যালিফোর্নিয়াম বিশ্বের অন্যতম দামি তেজস্ক্রিয় পদার্থ। এই পাথর ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। এমনকি বিস্ফোরক চিহ্নিত করে যে যন্ত্র, তাতেও কাজে লাগে ক্যালিফোর্নিয়াম। আবার তেল- পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প এবং বিভিন্ন ধাতু পরীক্ষায় এর ব্যবহার হয়।