মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

বাজারে নেই ভ্যাকসিন! মোদীকে ফের একবার বিস্ফোরক চিঠি মমতার

০৭:০০ পিএম, এপ্রিল ২০, ২০২১

বাজারে নেই ভ্যাকসিন! মোদীকে ফের একবার বিস্ফোরক চিঠি মমতার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের লড়াই অব্যাহত। সোমবারই খোলাবাজারে করোনা ভ্যাকসিন আনার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। আরও বলা হয়েছে যে, ১ মে থেকে ১৮ বছর বয়স হলেই, করোনা টিকা নেওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার গণটিকাকরণের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর, প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

চিঠি লিখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদীর এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বললেন যে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক দেরিতে নেওয়া হয়েছে। নেত্রীর অভিযোগ, 'পরিস্থিতি বুঝে এখন গা বাঁচানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র'। পাশাপাশি তৃণমূল নেত্রী মোদির কাছে 'স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য টিকাকরণ নীতি' সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, কেন্দ্রের গণটিকাকরণ প্রসঙ্গে মমতার সাফ কথা, বাজারে এখনও প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। এই ব্যাপারে দ্রুত দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্র সরকারকে। মোদীকে দেওয়া চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমো রাজ্যের ও কলকাতার সাম্প্রতিক করোনা চিত্র তুলে ধরেছেন কেন্দ্রের কাছে, তেমনি মনে করিয়ে দিয়ে লিখেছেন, 'গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আমি আপনার সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছিলাম। সরাসরি জানিয়েছিলাম, আমরা ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যবাসীকে দিতে চাই। এ ব্যাপারে আজও উত্তর পাইনি।' এরপরই তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন যে, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে কেন্দ্র করোনা টিকা নিয়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, কেন্দ্র দেশের সাধারণ মানুষের টিকাকরণ প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করার বিষয় থেকে সরে আসার চেষ্টা করছে।

অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তাঁর এই সব অভিযোগের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট লিখেছেন যে, ঘোষণা থেকে ভ্যাকসিনের গুণগত মান, কার্যকারিতা কোনও কিছুই স্পষ্ট হচ্ছে না। টিকার যোগান ঠিক থাকবে কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। তৃণমূল নেত্রীর আরও যুক্তি, খোলাবাজারে ভ্যাকসিন এলে, কালোবাজারি হওয়ার আশঙ্কাও থাকছে প্রবল। যদি আশঙ্কা সত্যি করে বাস্তবে ভ্যাকসিন নিয়ে কালোবাজারি শুরু হয়, তাহলে দেশের এই জটিল পরিস্থিতিতে, আক্ষরিক অর্থে সাধারণ মানুষের উপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে।

এই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ, যাতে প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হোক রাজ্যগুলিকে এবং কেন্দ্র যেন একটি আদর্শ টিকাকরণ নীতিও প্রকাশ করে। উল্লেখ্য, এদিন ট্যুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, রাজ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৫ হাজার মানুষকে কোভিড টিকা দেওয়া হয়। এই টিকাকরণ বেড়ে ৩৯ হাজার হয়েছে সোমবার। একদিকে সুষ্ঠুভাবে টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া, অন্যদিকে টিকার জোগান অক্ষুন্ন রাখা, এটাই এখন মূল লক্ষ্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠির পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর জবাবে ঠিক কী পদক্ষেপ নেন, সেটা দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা।