শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের প্রার্থী করবে কংগ্রেস! সিদ্ধান্ত প্রিয়াঙ্কার

০৪:৩৩ পিএম, অক্টোবর ১৯, ২০২১

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের প্রার্থী করবে কংগ্রেস! সিদ্ধান্ত প্রিয়াঙ্কার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নারী-পুরুষ সমান সমান, নারীদের সবক্ষেত্রেই সমান অধিকার। তা সে যে ক্ষেত্রেই হোক। এই ধরনের কথা নতুন নয়। তবে, মুখে শুধু মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা নয়, এবার কার্যক্ষেত্রেও সেটা করে দেখানোর বার্তা দিল কংগ্রেস। সামনেই রয়েছে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। আর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলাদের প্রার্থী করবে দল। এমনই ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ‘ঐতিহাসিক’ সিদ্ধান্ত। এর পূর্বে কোনও স্বীকৃত প্রথম সারির রাজনৈতিক দল এভাবে মহিলাদের ৪০ শতাংশ আসনে প্রার্থী করার কথা ভাবেনি পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, ২০২২-এর শুরুতেই ৪০৩ আসন বিশিষ্ট উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নিজেদের রণকৌশল সাজাতে ময়দানে নেমে পড়েছে। কংগ্রেসও এর ব্যতিক্রম নয়। এই মুহূর্তে সেখানে বিজেপিরাজ চলছে। এদিকে, রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির পরেই উত্তরপ্রদেশে সবথেকে বড় রাজনৈতিক শক্তি অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। পাশাপাশি গত বিধানসভা, লোকসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরিখে কংগ্রেস এখন যোগীর রাজ্যে চতুর্থ শক্তি। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন দলের শক্তি বাড়ানোর জন্য। আর সেই উদ্দেশ্যে এবার তিনি টার্গেট করেছেন রাজ্যের মহিলা ভোটারদের।

তাছাড়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে একজন মহিলা। অঘোষিতভাবে হলেও তিনিই দেশের বৃহত্তম রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ। এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার তিনি নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে মুখ খুলেছেন। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি ঘোষণা করেন যে, ‘উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ৪০ শতাংশ আসনে প্রার্থী করবে মহিলাদের। উত্তরপ্রদেশের মহিলারা অনেক কিছুই করে দেখাতে পারেন, সেটাই প্রমাণ করতে চাইছে কংগ্রেস।’

https://twitter.com/ANINewsUP/status/1450373263289249802

এই ঘোষণা করার সময় কংগ্রেস নেত্রী এও বলেন যে, ‘এই সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের সেই ধর্ষিতার জন্য নেওয়া যাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত হাথরসের নির্যাতিতার জন্যও নেওয়া। এই সিদ্ধান্ত লখিম পুরের সেই মেয়েটির জন্য নেওয়া যে প্রধানমন্ত্রী হতে চায়। এই সব সিদ্ধান্ত সেইসব মহিলাদের জন্য নেওয়া, যারা উত্তরপ্রদেশের উন্নতি ও ভালো চান।’