শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘এরকম নোটিশ আমি পাই, পড়ি, ছিঁড়ি’, কমিশনের নোটিস প্রসঙ্গে এবার ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্য প্রিয়াঙ্কার

০৩:৩০ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১

‘এরকম নোটিশ আমি পাই, পড়ি, ছিঁড়ি’, কমিশনের নোটিস প্রসঙ্গে এবার ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্য প্রিয়াঙ্কার

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ হিসেবে এই কেন্দ্রে বিজেপি আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কারও মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এদিকে টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যার ভিত্তিতে গতকালই বিজেপি প্রার্থীকে চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। সেই চিঠি পেয়েছেন বলেও আগেই জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

মনোনয়নের আগে অবৈধ জমায়েতের অভিযোগে নোটিস তলব করেছে কমিশন। জবাব চাইলেন রিটার্নিং অফিসার। তবে, ভবানীপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। আবার এদিন কমিশনের এই নোটিশ প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেছেন যে, ‘এরকম নোটিশ আমি একশো পাই, দেড়শো পড়ি, দুশো ছিঁড়ি’। আর বিজেপির প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এই ‘অসম্মানজনক’ মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

নির্বাচন কমিশনের চিঠি অনুযায়ী, মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রিয়াঙ্কা করোনাবিধি ভেঙেছিলেন। উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে, এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ, ৫ জন নিয়ে মনোনয়ন জমা করা যাবে। সেই কোভিডবিধিই বিজেপি প্রার্থী মানেননি বলেই অভিযোগ করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমা করার সময় জমায়েত হয়েছিল। অভিযোগ, ১৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন পেশের দিন পাঁচশো জনের বেশি মানুষ নিয়ে মিছিল করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রথমে এসএসকেএম হাসপাতালের কাছে গোল মন্দির এলাকায় ধুনুচি নাচ সহযোগে মিছিল ও পরে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিং-এর সামনেও গাড়ির মিছিল নিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বহু গাড়ি এবং তাতে দলীয় পতাকা ছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের সামিল। এরপরই প্রিয়াঙ্কার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। বুধবারই কমিশনের শোকজের উত্তর দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তবে, এই নোটিশকে যে তিনি একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তাও স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। তাঁর মন্তব্য থেকেই তা পরিষ্কার।

বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে, তাই যেনতেন প্রকারেণ আমার প্রচার বন্ধ করতে চাইছে। তাই কমিশনে চিঠি দিয়েছে। তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করেছে আমার বিরুদ্ধে। পুলিশ তো ওখানে ছিল, কেন লোকেদের সরায়নি। আমার কোনও লোক ছিল না। আমজনতা যদি রাস্তায় বেরোন। এরকম নোটিস দিনে আমি একশো পাই, দেড়শো পড়ি, দু’শো ছিঁড়ি।’

অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের মতে, একজন প্রার্থী এবং আইনজীবীর কাছে এধরনের মন্তব্য কাম্য নয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। এটা কমিশনের সম্মানে আঘাত।’ আবার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়, ‘বিজেপি কোনওদিন কমিশনকে অপমান করে না। কমিশন আমাদের কাছে সম্মানীয়, গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবসময় কমিশনের নোটিসকে গুরুত্ব দেই।’ পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল ঠিক কী বলেছেন, তা জানা নেই বলেই দাবি করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।