বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪

অনেক দিন পর, দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা নামল এক হাজারের নিচে, কমল দৈনিক সংক্রমণও

১১:৩৫ এএম, জুন ২৮, ২০২১

অনেক দিন পর, দেশে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা নামল এক হাজারের নিচে, কমল দৈনিক সংক্রমণও

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ বিস্তার ঘটছে করোনা ভাইরাসের উন্নত এবং সর্বশেষ ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। ধীরে ধীরে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। আবার করোনার ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট কতটা সংক্রামক তা এখনও প্রমাণিত নয়।

এই উদ্বেগের মাঝেই বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে। এবার গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই কমল করোনার সংক্রমণ। সোমবার দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রামিত হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৪৮ জন। গতকালই এই সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৪০ জন। দেশে করোনায় মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ০২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৩১ জন।

অন্যদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭৯ জনের। অনেক দিন পর দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা হাজারের নিচে নামল। মোট মৃত্যু সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩০ জন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে কমেছে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর ৫ লক্ষ ৭২ হাজার ৯৯৪। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৫৭৮ জন। ফলে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯৬.৮ শতাংশ।

দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৯ হাজার ৬০৭ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে টিকাকরণ হয়েছে ৩২ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৯৭ জনের। বিশ্বের টিকাকরণ গ্রাফ অনুযায়ী, এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকাকেও টপকে গেল ভারত। ফলে দেশে করোনা টিকাদানের হার বেশ সন্তোষজনক বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

https://twitter.com/ANI/status/1409360364651761665

এদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা বলা হলেও, আইসিএমআর-এর কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এন কে আরোরা সরকারি প্যানেলে উল্লেখ করেছেন যে, ICMR-র পক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, এখনও ৬ থেকে ৮ মাস হাতে সময় আছে। এই সময়টা নষ্ট করলে, হিতে বিপরীত হবে। এই সময়ের মধ্যে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে।

তিনি ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে শিশু ও কিশোরদের টিকাকরণ সেরে রাখার কথা বলেন সরকারি প্যানেলে। তাঁর কথায়, ‘আইসিএমআর-এর একটি সাম্প্রতিকের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে এখনও দেরি আছে। ততদিনে আশা করা হচ্ছে, একেবারে শেষ হয়ে যাবে দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট।’ তাঁর দাবি অনুযায়ী, পরের বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তিনি বলেন, ’১২ থেকে ১৮ বছরের বয়সে শিশুদের টিকাকরণের পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাদানের কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।’