শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

দেশের করোনা গ্রাফে স্বস্তি! ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় কমল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা

১১:২৪ এএম, নভেম্বর ২৯, ২০২১

দেশের করোনা গ্রাফে স্বস্তি! ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কের মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় কমল সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, দেশ এখনও করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তার মধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা জারি রয়েছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর। এদিকে, দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। তবে, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফিরছে দেশ। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ। দেশে এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ ১০ হাজারের নীচে রয়েছে। তবে, মাঝে মাঝে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ কমার পাশাপাশি একধাক্কায় অনেকটাই কমল করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। যা বেশ স্বস্তিজনক। এর পাশাপাশি করোনার নতুন স্ট্রেন ভয় ধরাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা বেঙ্গালুরুর দুই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত বলে জানা যায়। তবে,c পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁদের শরীরে ডেল্টা স্ট্রেন বাসা বেঁধেছে, ‘ওমিক্রন’ নয়। ভারতে এখনও এই প্রজাতির প্রবেশ না ঘটলেও ব্রিটেনে ঢুকে পড়ল ওমিক্রন। দু’জন আক্রান্ত এই নয়া স্ট্রেনে।

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩০৯ জন।  এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটাই কম। গতকাল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৭৭৪ জন। এখনও চিন্তায় রাখছে কেরলের কোভিড গ্রাফ।

অন্যদিকে, গতকালের পর কমেছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩৬ জন। গতকালের থেকে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ৬২১ জন।

https://twitter.com/ANI/status/1465164327237816327

তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নিম্নমুখী অ্যাকটিভ কেস। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগী ১ লক্ষ ৩ হাজার ৮৫৯ জন। গতদিনের তুলনায় ১ হাজার ৮৩২ কম, যা কোভিড গ্রাফে বেশ বড়সড় উন্নতি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা। করোনার বিরুদ্ধে আশার আলো দেখাচ্ছন করোনাজয়ীরাই। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯০৫ জন। সুস্থতার হার এই মুহূর্তে ৯৮.৩৪ শতাংশ।

করোনা মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র টিকাকরণ। উৎসবের মরশুমে গতি হারিয়েছিল টিকাকরণ। যা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে দেশের সমস্ত মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ পান, সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকেও সেই মর্মে টিকা সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন রাজ্যে খুলছে স্কুল-কলেজ। তবে, সংক্রমণের আশঙ্কায় জমায়েতে এখনও জারি নিষেধাজ্ঞা। এছাড়াও টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। এদিকে সম্প্রতি আইসিএমআর (ICMR) জানিয়ে দিয়েছে, নাগরিকদের বুস্টার ডোজ দেওয়া নিয়ে প্রয়োজনীয় কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এখনও পাওয়া যায়নি। আইসিএমআরের মতে, জোড়া ডোজ হলেই তা করোনা প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট। সমস্ত নাগরিক যাতে দ্রুত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজও পান, তা দ্রুততার সঙ্গে করার জন্য কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে এখনও পর্যন্ত ১২২ কোটি ৪১ লক্ষ ৬৮ হাজার ৯২৯ জনের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ‘ওমিক্রন’ নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।