বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে, দেশে করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন একটু একটু করে বাড়ছে সংক্রমণ, আবার কখনও তা কমছে। এরই মধ্যে আবার সামনেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে বিশেষ সতর্ক কেন্দ্রের মোদী সরকার। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে জোর দেওয়া হচ্ছে করোনাবিধিতে। পাশাপাশি গতি বাড়ানো হচ্ছে টিকাকরণের উপর। তবে, উৎসবের মুখে দেশের করোনা গ্রাফে স্বস্তি মিলেছে। এদিন ফের করোনার দৈনিক সংক্রমণ কমে ২০ হাজারের নিচে নেমেছে। স্বস্তি দিয়ে অনেকটাই কমেছে করোনার অ্যাকটিভ কেসও। যা স্বাস্থ্যমন্ত্রককে স্বস্তি দিচ্ছে।
শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৬৬ জন। গতকালের থেকে সংক্রমণ অনেকটাই কম। গতকাল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজার ৭৪০ জন।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টা করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জন। দীর্ঘদিন বাদে বৃহস্পতিবারই মৃতের সংখ্যা তিনশোর গণ্ডি অতিক্রম করেছিল। শুক্রবার তা কিছুটা কমে তিনশোর নিচে নামে। শনিবার তা আরও কিছুটা কমেছে। গতকাল দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৪৮ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৮৯ জন।
https://twitter.com/ANI/status/1447047043185213440অন্যদিকে, দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় স্বস্তি দিয়েছে করোনার অ্যাকটিভ কেসও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৭১ জন। যা গত কয়েক মাসে সর্বনিম্ন। যা উৎসবের মরশুমে যথেষ্ট স্বস্তিদায়ক বলেই মনে করছে স্বাস্থ্যমহল। এদিকে, করোনার বিরুদ্ধে আশার আলো দেখাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ৬২৪ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ কোটি ৩২ লক্ষ ৭১ হাজার ৯১৫ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন।
টিকাকরণের গতি বাড়িয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়াস জারি রয়েছে দেশজুড়ে। তৃতীয় ঢেউ রুখতে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে করোনা রোগীদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি টিককরণেও জোর দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৯৪ কোটি ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনার টিকা পেয়েছেন। কেন্দ্রের টার্গেট নবরাত্রি শেষ হওয়ার আগেই ১০০ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা। আশা করা হচ্ছে, এই গতিতে টিকাকরণের কাজ চললে, চলতি বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত মানুষকে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা সময়ের মধ্যেই পূরণ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র সরকার। এদিকে, গত বছরের মতো এবারও মেনে চলতে হবে কঠোর করোনাবিধি। কিন্তু তার আগে দেশের করোনা গ্রাফের এই পতন কিছুটা আশ্বস্ত করেছে স্বাস্থ্যমহলকে। উল্লেখ্য, কলকাতায় পুজোর ক’দিন টিকাকরণ বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।