শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেল দৈনিক করোনা সংক্রমণ! একদিনে মৃত্যু হাজারেরও বেশি

১১:৩৩ এএম, এপ্রিল ১৪, ২০২১

আগের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গেল দৈনিক করোনা সংক্রমণ! একদিনে মৃত্যু হাজারেরও বেশি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ক্রমশ ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতর হয়ে উঠছে করোনা। দেশের করোনা পরিস্থিতি এতোটাই ভয়াবহ যে, আমেরিকাকেও সেই ভয়াবহতা ছাপিয়ে যাচ্ছে। অথচ গত বছর এই পরিস্থিতি হয়নি। আর এই বছরে শুধুমাত্র করোনা নিয়ে মানুষের গা-ছাড়া মনোভাব, উদাসীনতা, করোনা বিধি না মানা এবং করোনা নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ করে তুলেছে। প্রায় ভেঙে পড়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ কোটি ৮৪ হাজারেরও বেশি। মৃত্যু এক হাজারের বেশি। এই প্রথমবার দেশে বেড়েছে একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। বুধবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার ৩৭২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যা আগের দিনের থেকে প্রায় ২৩ হাজার বেশি। এই সংখ্যা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ। বর্তমানে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮২৫ জন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপাতত মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৫ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৭ জনের। যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮২ হাজার ৩৩৯ জন। দেশের মোট অ্যাকটিভ কেস একধাক্কায় বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭০৪ জন। সম্ভবত প্রথমবার দেশে একদিনে অ্যাকটিক কেস বাড়ল এক লক্ষের বেশি। দেশে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৩৬ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকা পেয়েছেন ১১ কোটি ১১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫৭৮ জন।

দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি সবথেকে ভয়ঙ্কর। তাই এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে। আগামী ১৫ দিনের জন্য মহারাষ্ট্রে জারি করা হল কার্ফু। আজ বুধবার রাত ৮ টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে রাজ্যজুড়ে।

এই পর্বে হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে৷ শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বাস এবং লোকাল ট্রেন চলবে৷ খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক পরিষেবা৷ পেট্রল পাম্প এবং সেবির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণকাজ করা হবে। হোটেল বা রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না। শুধু খাবার নিয়ে যাওয়া যাবে। হোম ডেলিভারিতে ছাড়পত্র মিলবে। রাজ্যের সমস্ত দরিদ্র মানুষের পরিবারে ৩ কেজি গম ও ২ কেজি চাল পৌঁছে দেবে সরকার।

মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ মে পর্যন্ত বৈধ বা উপযুক্ত কারণ ছাড়া কেউ রাস্তায় বেরোতে পারবেন না। এক জায়গায় পাঁচ জনের বেশি জড়ো হতে পারবেন না। যাবতীয় প্রতিষ্ঠান, পাবলিক প্লেস এবং পরিষেবা বন্ধ থাকবে। জরুরি এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। যে যে পরিষেবা এবং কাজকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেগুলি কর্মদিবসের সময় সকাল সাতটা থেকে সকাল আটটা বিনা বাধায় চালু রাখা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি দিল্লি, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে পরিস্থিতি ভয়াবহ। সংক্রমণ বাড়ছে এরাজ্যেও। বাংলাতেও রেকর্ড হারে বাড়ছে সংক্রমণ।