শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

কোভিড বিধি শিকেয়, ধর্মগুরুর শেষকৃত্যে কয়েক হাজার ভক্তের ভিড়! আরও বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা উত্তরপ্রদেশে

১১:০০ এএম, মে ১১, ২০২১

কোভিড বিধি শিকেয়, ধর্মগুরুর শেষকৃত্যে কয়েক হাজার ভক্তের ভিড়! আরও বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা উত্তরপ্রদেশে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনাকালে, ফের একবার কোভিড বিধির তোয়াক্কা না করে, হাজার হাজার মানুষের জমায়েত ঘটল। এর জেরে ফের একবার বেশি মাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতিও তৈরি হল।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুতে। করোনা বিধি শিকেয় তুলে, ধর্মগুরুর মৃত্যুতে উপচে পড়ল হাজার হাজার মানুষের ভিড়। গত রবিবার মৃত্যু হয় আবদুল হামিদ মহম্মদ সলিমুল কাদরি নামের এক মুসলিম ধর্মগুরুর। এই ধর্মগুরুর মৃত্যুর পর, তাঁর দেহ ভক্তদের জন্য রাখা হয়েছিল স্থানীয় একটি মসজিদে।

সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বদায়ুতে ওই মসজিদে হাজির হয় কয়েক হাজার মানুষ। করোনা বিধির বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে, এই বিশাল জমায়েত করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই, নড়েচড়ে বসেছে যোগীরাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। সোমবারই একটি মামলা দায়ের করেছে প্রশাসন।

উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে কোভিড সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে জমায়েত করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আগেই। কারা এই কাজ করেছে, চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বদায়ুর পুলিশ সুপার সঙ্কল্প শর্মা। করোনা সংক্রমণ রুখতে উত্তরপ্রদেশ সরকার, শেষকৃত্যে সবথেকে বেশি ২০ জনের উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছে। তারপরেও এই ঘটনা অবাক করেছে সবাইকে। এছাড়াও মাস্ক না পরে প্রথমবার ধরা পড়লে ১ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয়বার একই কারণে ধরা পড়লে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। তবে, এসব কোনও কিছুরই তোয়াক্কা করা হয়নি সলিমুল কাদরির শেষকৃত্যে। মানা হয়নি করোনা বিধি। এর ফলে, এই জমায়েত থেকে ‘সুপার স্পেডার’দের ছড়িয়ে পড়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার সময়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে মার্চ মাস নাগাদ, দিল্লির নিজামুদ্দিন মরকজে বহু তবলিঘি জামাত সদস্য জমায়েত করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে আবার অনেক বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, লকডাউন ঘোষণার পরও সেই এলাকায় জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে করোনাও ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এপ্রিল মাসে তবলিঘি জামাতের ৯৬০ সদস্যকে কালো তালিকাভাক্ত করেছিল। একইসঙ্গে তাঁদের ভিসাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে দিল্লি পুলিশ এবং অন্য রাজ্যের পুলিশের কাছে নিজ নিজ এলাকায় থাকা বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ আইন এবং বিদেশি নাগরিক আইনের অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছিল।