শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

বাঁধভাঙা সংক্রমণ রাজধানীতে! সংক্রমণ রুখতে, কড়া পদক্ষেপ কেজরিওয়াল সরকারের, ৬ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি

০৫:১৯ পিএম, এপ্রিল ১৯, ২০২১

বাঁধভাঙা সংক্রমণ রাজধানীতে! সংক্রমণ রুখতে, কড়া পদক্ষেপ কেজরিওয়াল সরকারের, ৬ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে মারণ করোনা। দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে অবস্থা ক্রমশ খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে। দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের অবস্থা খুবই খারাপ। পাশাপাশি দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে বাঁধভাঙা সংক্রমণের মোকাবিলায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করল দিল্লি সরকার। আজ রাত থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন জারি হতে চলেছে দিল্লিতে। আজ রাত থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত জারি থাকবে এই নির্দেশিকা। সূত্রের খবর, আজ থেকে সমস্ত প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্ক ফ্রম হোম করবে। শুধুমাত্র সরকারি অফিস খোলা থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।

সংক্রমণের চেন রুখতে সপ্তাহান্তে কারফিউ রাজধানীতে। তবে, এবার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে, সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকায়, কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি। উল্লেখ্য, দেশে ঊর্ধ্বমূখী করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ। তারমধ্যে রবিবার রেকর্ড সংক্রমণ হয়েছে রাজধানী দিল্লিতে। আক্রান্ত হন ২৫ হাজার ৪৬২ জন। এই মুহূর্তে প্রতি ৩ টেস্টের মধ্যে ১ জন পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে, সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথম বড় সিদ্ধান্ত নিল দিল্লি সরকার। মনে করা হচ্ছে, ৬ দিন মানুষ বাড়িতে থাকলে, কিছুটা হলেও, সংক্রমণ কমান সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও বারবার বলে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে নিয়ে আলোচনা করতে আজই একটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

উল্লেখ্য, এর পূর্বে দিল্লি সরকার করোনা ঠেকাতে অডিটোরিয়াম, মল, জিম, রেস্তোরাঁ. স্পা বন্ধ করে দেয়। শুধুমাত্র এক-তৃতীয়াংশ দর্শক নিয়ে সিনেমা হল খোলার অনুমতি ছিল। কিন্তু তাতেও সংক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে দিল্লি সরকার। তাই এবার ৬ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় যে বিশাল চাপ সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ায়, তা নিয়েও উদ্বিগ্ন কেজরিওয়াল। কীভাবে এই সংক্রমণে রাশ টানা য়ায়, তা নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ স্পষ্ট থেকে আরও স্পষ্ট হচ্ছে চিকিৎসক থেকে প্রশাসন সকলেরই।