শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য! ধৃত জঙ্গিদের ফের ২৬/১১-র ধাঁচে হামলার ছক ছিল, নজরে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ

০৬:৩৯ পিএম, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য! ধৃত জঙ্গিদের ফের ২৬/১১-র ধাঁচে হামলার ছক ছিল, নজরে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ উৎসবের মরশুমে বড় নাশকতার ছক বানচাল করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে ৬ জঙ্গিকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সূত্রের খবর, এই ৬ জনের মধ্যে ধৃত ২ জন সদ্য পাকিস্তান থেকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে ফিরেছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, উৎসবের মরশুমে নাশকতার ছক কষেছিল এই জঙ্গিরা।

ধৃত জঙ্গিদের মধ্যে ২ জন পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে আগেই জানা গিয়েছে। এবার সেই দুই জঙ্গিকে জেরা করেই মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, আজমল কাসভ যে প্রশিক্ষণ শিবিরে ট্রেনিং নিয়েছিল, সেই শিবিরেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত দুই জঙ্গিও! ২৬/১১-র ধাঁচে ফের হামলার পরিকল্পনা ছিল! পুলিশি জেরায় তাঁরা জানিয়েছে যে, করাচির কাছে সেনা ছাউনিতে আইইডি তৈরি এবং একে ৪৭ চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাক-সেনা অফিসাররা। আগেই পাক-যোগের কথা উঠে আসছিল। এবার তা আরও স্পষ্ট হল। এদিকে, জঙ্গি দলে আবার ১৪ থেকে ১৬ জন বাংলাভাষীর হদিশও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই বাংলাভাষীরা কোন দেশের নাগরিক? তাঁরা কি ইতিমধ্যেই ভারতে ঢুকে পড়েছে? এইসব উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা এই মুহূর্তে।

উল্লেখ্য, নানা গোয়েন্দা সংস্থা মারফৎ খবর পেয়ে দিল্লি, রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশ জুড়ে জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশের স্পেশাল সেল। ৬ জইশ জঙ্গিকে গ্রেফতারির পর, ওই স্পেশাল সেলের সিনিয়র আধিকারিক নীরজ ঠাকুর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, ধৃত ৬ জনের মধ্যে একজনকে রাজস্থানের কোটা থেকে, দু'জনকে দিল্লি থেকে এবং তিনজনকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে ২ জন পাকিস্তানে গিয়ে বিস্ফোরক তৈরি এবং একে-৪৭-সহ অন্যান্য অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। এই মুহূর্তে ধৃতদের জেরা করছেন গোয়েন্দারা। তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে।

তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে, এদেশের জঙ্গি কার্যকলাপের জাল ছড়িয়েছে আরও গভীরে! তদন্তে জানা দিয়েছে, স্রেফ দিল্লিতে নয়, বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তরপ্রদেশ, এমনকী মহারাষ্ট্রের জনবহুল এলাকায় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। কোথায় বিস্ফোরণ ঘটানো যায়? সেই সবেরই রেইকি চলছিল।

গোয়েন্দারা এও জানিয়েছেন, ভারতে ২ দলের ভাগ হয়ে কাজ করছিল জঙ্গিরা। একটি দলের কাজ ছিল বিস্ফোরণ ঘটানো। আর হাওয়ালা মারফৎ অর্থের জোগান দেওয়ার দায়িত্বে ছিল অন্য দলটি। শুধু তাই নয়, এই জঙ্গি কার্যকলাপের মূলচক্রী হিসেবে উঠে এসেছে দাউদ ইব্রাহিমের আনিসের নাম। জঙ্গিদের অর্থের জোগান দিয়েছিল সে।

অন্যদিকে, বেশ কয়েক বছর আগে ধৃত জঙ্গি জান মহম্মদ শেখের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের ধারাভি থানায় এলাকায় একটি মারপিটের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সেই বিষয়টিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। দিল্লি ছাড়া আর কোথায় কোথায় গিয়েছিল জঙ্গিরা? কোথায় থেকেছিল? সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে সেসব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।